প্রণোদনার টাকা অনুদান হিসেবে চান ব্যবসায়ীরা

এফবিসিসিআই

করোনার ধাক্কা মোকাবিলায় ছোট–বড় অনেক প্রতিষ্ঠান প্রণোদনার অর্থ পেয়েছে। এই প্রণোদনা অর্থের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অনুদান হিসেবে ঘোষণার দাবি করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। আজ রোববার এনবিআর-এফবিসিসিআইয়ের যৌথভাবে আয়োজিত বাজেটসংক্রান্ত পরামর্শ সভায় এ প্রস্তাব করা হয়েছে। ভার্চ্যুয়াল উপায়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।

সভায় এফবিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, করোনার ধাক্কা যদি আরেক প্রান্তিক অব্যাহত থাকে, তাহলে এ দেশের ছোট-বড় শিল্পমালিকেরা বিপাকে পড়তে পারেন। করোনার ধাক্কা সামাল দিতে বড় শিল্পমালিকদের ছাড় করা টাকার ৫ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অনুদানে রূপান্তর করা উচিত। এ ছাড়া কৃষি খাতে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রণোদনার অর্থ পেয়েছে, তাদেরও ৫০ শতাংশ অনুদান হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান।

এ ছাড়া আগামী দুই বছরের মধ্যে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর ও আগাম ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই। এফবিসিসিআই মনে করে, করোনার সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। আবার সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে অগ্রিম আয়কর ও আগাম ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়বে।

এ ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করপোরেট কর কমানোর সুপারিশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

একই অনুষ্ঠানে দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প খাত তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ দাবি করেছে আগামী পাঁচ বছর উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ করার। বর্তমানে দশমিক ৫ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়। এ ছাড়া পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা বক্তব্য দিয়েছেন। এতে সভাপতিত্ব করছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

সভার শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তাফা কামাল বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। কেউ অযৌক্তিক প্রস্তাব দেননি। তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে।