বহুপক্ষীয় ব্যবস্থায় আস্থা দেখা গেল

মোস্তাফিজুর রহমান

এবার ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ঐকমত্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো—এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জি-২০ দেশসমূহের মধ্যে অনৈক্য, মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগের আলোচনায় বিভিন্ন জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরে আসার লক্ষণ।

মনে রাখা দরকার, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর এই প্রথম সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।

বাংলাদেশসহ এলডিসিভুক্ত দেশগুলো এলডিসি থেকে উত্তরণ টেকসই করতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সুবিধা ৬-৯ বছর সম্প্রসারণের দাবি উত্থাপন করেছিল। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত অর্থাৎ কত দিন এই সুবিধা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে ঐকমত্য না হলেও এলডিসি দেশগুলোর যে এই সুবিধা প্রয়োজন, তা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে স্বীকৃত হয়েছে।

বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়নের যাত্রাপথে এলডিসিরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে এবং ডব্লিউটিওর সদস্য দেশগুলো এ বিষয়ে তাদের সহায়তা করবে। আশা করা যায়, এর পরের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন আলোচনার প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হবে।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে তিনটি পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করতে হবে।সেগুলো হলো, এলডিসি হিসেবে প্রাপ্য সুবিধা, যা চলমান আছে; এলডিসি উত্তরণ টেকসই করতে গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যেসব সিদ্ধান্তের সম্মুখীন হতে হবে-সেগুলো।

এ ছাড়া মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশকে বিবেচনায় নিতে হবে।যেমন, ই-কমার্সের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক আরোপের এখতিয়ার, যা ১৩ তম বৈঠকের পর চূড়ান্ত হবে।