‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে মালয়েশিয়া’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এ সম্পর্ক আরও উন্নত করার অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে মালয়েশিয়া। আজ বুধবার বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ): চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ শীর্ষক অনলাইন সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো দেশের সঙ্গে এফটিএ করতে পারেনি। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সঙ্গে প্রথম করা হয়েছে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)।

বিএমসিসিআই সভাপতি রাকিব মোহাম্মদ ফখরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য মোস্তফা আবিদ খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো দেশের সঙ্গে এফটিএ করতে পারেনি। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সঙ্গে প্রথম করা হয়েছে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার মালয়েশিয়াসহ ১১টি দেশের সঙ্গে এফটিএ না হলেও অন্তত পিটিএ করার চেষ্টা করছে।

দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। চীন, জাপান ও ভারতের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। সৌদি আরবও আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবে। দেশের বেসরকারি খাতেরও বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলমান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার মালয়েশিয়াসহ ১১টি দেশের সঙ্গে এফটিএ না হলেও অন্তত পিটিএ করার চেষ্টা করছে।

সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে, তা পোষাতে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সম্পূর্ণ বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকেও প্রণোদনা ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের বিনিয়োগের জন্য নীতিমালা সহজ করা হয়েছে বাংলাদেশে। সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিনিয়োগের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য এখন বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি ১৯৭৭, সমুদ্র পরিবহন চুক্তি ১৯৮৩, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি ১৯৯২ এবং দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি ১৯৯৪ রয়েছে। এফটিএ বা পিটিএ হলে তা হবে দেশটির সঙ্গে পঞ্চম বাণিজ্য চুক্তি।

সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার, বিএমসিসিআইয়ের বিদায়ী সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসাইন, বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক মালয়েশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবরার আনোয়ার, বিএমসিসিআইয়ের সহসভাপতি আনোয়ার শহীদ প্রমুখ।