বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের ঝাঁজ

ঢাকার বাজারে হঠাৎ বেড়ে গেছে দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ। বাজারভেদে খুচরা পর্যায়ে এক লাফে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১২ টাকা। বরাবরের মতোই এ দাম বাড়ার জন্য একে অপরকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা।  

কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে আজ প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাইকারিতে এ দাম ছিল ৩৪ টাকা কেজি। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এ বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা আশরাফ হোসেন বলেন, ‘এখন বেশির ভাগ দেশি পেঁয়াজের জোগান আসছে ফরিদপুর থেকে। সেখান থেকে আমরা আজ ৪০ কেজির প্রতি বস্তা ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনেছি। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ কেজিপ্রতি ৩ টাকা। তাতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ৩৩ টাকা। এ পেঁয়াজ কিছুতেই পাইকারিতে ৩৪-৩৫ টাকার কমে বিক্রি সম্ভব নয়।’ দাম বাড়ার জন্য এই বিক্রেতা দায়ী করেন ঘন কুয়াশাকে।

কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে আজ প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাইকারিতে এ দাম ছিল ৩৪ টাকা কেজি। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এ বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

ঢাকার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ থেকে ৪০ টাকায়। ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারে আজ বৃহস্পতিবার পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ এলাকার পাইকারি আড়তদার শংকর চন্দ্র ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, পেঁয়াজের দাম মাঝে কমে গেলেও এখন আবার বেড়েছে। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এবার কৃষক পর্যায়ে দাম বেড়ে গেছে।

রাজধানীর মিরপুর ১১ ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, জোগান আগের চেয়ে কমে গেছে, তাই দাম বাড়তি।

আরও পড়ুন

এদিকে বর্তমানে বাজারের সিংহভাগই দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দখলে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ভারত থেকে খুব বেশি পেঁয়াজ আসছে না।

শ্যামপুরের আড়তদার শংকর চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমরা এখনো ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পাইনি। ফলে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। ভারতের বাইরে বাজারে চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম খুব বেশি বাড়েনি।’