বাজেট প্রস্তাব চেয়েছে এনবিআর

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তারই অংশ হিসেবে বাজেট তৈরিতে সহায়তার জন্য দেশের বিভিন্ন চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে বাজেট প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে। এসব চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের প্রস্তাব আগামী ৮ মার্চের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এনবিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে এনবিআর রাজস্ব নীতিমালা তৈরি করে থাকে। এ লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক, গণমুখী, শিল্প, ব্যবসা ও করদাতাবান্ধব এবং রাজস্ব সম্ভাবনাময় সুষম বাজেট প্রণয়নে বরাবরই করদাতা বিভিন্ন শিল্প ও বণিক সমিতি, পেশাজীবী সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে এনবিআর বাজেট প্রস্তাব আহ্বান এবং তাদের সঙ্গে রাজস্ব আহরণ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমকে অধিকতর অর্থবহ ও প্রতিনিধিত্বশীল করার জন্য এনবিআর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাজেট প্রণয়নে আগ্রহী।

এ জন্য আগামী ৮ মার্চের মধ্যে বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে তাদের প্রস্তাব এফবিসিসিআইয়ের কাছে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে এনবিআর। একই সঙ্গে প্রস্তাবের একটি কপি ই-মেইল [email protected]এর মাধ্যমে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর আপিল ও অব্যাহতি) ও প্রধান বাজেট সমন্বয়কারী মো. গোলাম কবিরের কাছে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

এনবিআর জানিয়েছে, বাজেট প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দপ্তর কোনো চেম্বার বা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নয়, তারাও সরাসরি এনবিআরের ই-মেইলে বাজেট প্রস্তাব পাঠাতে পারবে।

এনবিআর আগের বেশ ঘটা করে প্রাক্-বাজেট আলোচনা করত। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এই আলোচনার প্রভাব দেখা যেত বাজেটে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর কোনো ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। করোনার প্রকোপ শেষ না হলে এবারও আলোচনা হবে না। তবে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা গিয়ে এনবিআরে প্রস্তাব জমা দিতে পারবেন। পাশাপাশি ই-মেইলে জমা দেওয়ার সুবিধা তো রয়েছেই।