বাণিজ্যসুবিধায় ভিয়েতনাম এগিয়ে যেতে পারে

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে গেলে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে প্রভাব পড়তে পারে। তাই নতুন দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্যসুবিধা পেতে এখন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে হবে। গতকাল শনিবার এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

রপ্তানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কেমন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারে, তার একটি উদাহরণ দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ বক্তা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টিপিপি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গেও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করলে তাদের এখন যে শুল্ক দিতে হয়, তা দিতে হবে না। অথচ এলডিসি থেকে বের হলে ইউরোপের বাজারে প্রবেশ করতে বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফত।

এলডিসি থেকে উত্তরণে যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা, তা অনিশ্চিত বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বলা হয় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। বাস্তবতা হলো, বিদেশি বিনিয়োগ আসার পেছনে অন্য কারণ থাকে। ব্যবসা সহজ করার সূচকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আমাদের অবস্থান সুবিধাজনক নয়। তাই বিনিয়োগ নিয়ে আশাবাদী হতে পারছি না।’ তাঁর মতে, বাণিজ্যসুবিধা বাতিলের পাশাপাশি ওষুধশিল্পেও বড় ধাক্কা লাগবে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরের মত হলো, ‘উন্নয়ন টেকসই করতে দেশের শক্তি বাড়াতে হবে। ২০২৬ সালে যেন আবার বলতে না হয়, আমাদের উত্তরণ একটু পিছিয়ে দেন। এটি অবমাননাকর হবে।’

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘মাথাপিছু আয় যখন ৫ হাজার ডলার হবে, তখন রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকের সস্তা দাম ধরে রাখতে পারব না। রপ্তানিমুখী পণ্যের চলাচলে বন্দর, পরিবহন সড়কসহ বিভিন্ন জায়গায় অযাচিত খরচ বাড়ে। এসব খরচ কমাতে পারলে সার্বিকভাবে উৎপাদকের খরচ কমবে।