বৈষম্য নিরসন চায় সরঞ্জাম ও পণ্য মোড়কজাত উপখাত

পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় ৯০-৯৫ শতাংশ সরঞ্জাম দেশীয় কারখানাগুলো জোগান দিলেও রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাতটির মতো সুবিধা পায় না।

বিজিএপিএমইএ সভাপতি আবদুল কাদের খান

তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় বোতাম, চেইন, কার্টন, নেক বোর্ড, পলিব্যাগ ইত্যাদি পণ্যের জোগান দেয় সরঞ্জাম ও মোড়কজাত পণ্য উপখাত। পোশাকের ব্যবসা বাড়লে তাদেরও বাড়ে। আর কমলে তাদেরও কমে। তবে রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাতটির সহযোগী হয়েও সমান সুযোগ-সুবিধা পায় না সরঞ্জাম ও মোড়কজাত পণ্য উপখাত।

বৈষম্য ঘোচাতে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের মতো সমান করপোরেট কর দাবি করেছেন পোশাক খাতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়কজাত পণ্যের উৎপাদক ও রপ্তানিকারকেরা। বর্তমানে শতভাগ পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর ১২ শতাংশ। পরিবেশবান্ধব কারখানার ক্ষেত্রে এই করহার ১০ শতাংশ। এই সুযোগ আগামী অর্থবছরেও থাকছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে দুই বছরের জন্য সুবিধাটি দেন অর্থমন্ত্রী।

সরঞ্জাম ও মোড়কজাত পণ্য উপখাত সহযোগী শিল্প হয়েও আমরা সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। এটি সুস্পষ্টভাবে রপ্তানি ও শিল্পনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আবদুল কাদের খান, সভাপতি, বিজিএপিএমইএ

বাজেটে বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া প্রস্তাবে করপোরেট কর কমানোসহ তিনটি দাবি করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।

পআগামী বাজেটে রপ্তানির ওপর উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি করেছে বিজিএপিএমইএ। তারা বলছে, করোনার কারণে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তাদের সদস্যদের প্রচ্ছন্ন রপ্তানি কমছে। পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশের অভাবের পাশাপাশি পণ্যের দামও কম দিচ্ছেন ক্রেতারা। ফলে ব্যবসায় টিকে থাকা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়া নগদ সহায়তাও দাবি করেছে পোশাকশিল্পের সহযোগী এই উপখাত।

বিজিএপিএমইএর সভাপতি আবদুল কাদের খান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর সদস্য কারখানাকে করপোরেট করে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের সহযোগী শিল্প হয়েও আমরা সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। এটি সুস্পষ্টভাবে রপ্তানি ও শিল্পনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। উভয় নীতিতে সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদের সমান সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’