ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে

যেকোনো অর্থনীতির চালিকা শক্তি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ব্যবসার সাফল্য একটি দেশের প্রবৃদ্ধি, সামগ্রিক টেকসই উন্নয়নে সহায়তা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। জাতীয় সম্পদকে কীভাবে সর্বোচ্চ কাজে লাগানো যায়, উদ্যোক্তারা তা নিয়ে ভাবেন। স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জীবনযাপন ও কাজের পদ্ধতি পরিবর্তনের ক্ষমতা উদ্যোক্তাদের আছে। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসিবি) ত্রৈমাসিক বুলেটিনের সম্পাদকীয়তে এ অভিমত তুলে ধরা হয়েছে।

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কয়েক ব্যবসায়ী বিশ্বকে দেখিয়েছেন, বাংলাদেশিরাও সফল উদ্যোক্তা হতে সক্ষম। প্রয়াত আবুল কাসেম খান জেলা জজের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করতে আসা প্রথম বাংলাদেশি। ১৯৪৫ সালে তিনি একে খান গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রিটিশ আমলে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি ব্যবসায়িক পরিবার ছিল। তাদের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো ছিল মরহুম আনোয়ার হোসেনের পারিবারিক ব্যবসা ও ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম লতিফুর রহমানের পরিবারের ব্যবসা।

সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সরকারি নীতিতে পরিবর্তন এনে বেসরকারীকরণ, রপ্তানি উদারীকরণ ও আমদানি বিকল্প পণ্য প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরুর সুযোগ তৈরি হয়। আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান, স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরী, আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীসহ আরও কিছু ব্যবসায়ী সরকারের বেসরকারীকরণ নীতি প্রবর্তনের জন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।