ভ্যাটসহ সোনার দাম নিয়ে ‘বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই’

মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট), মজুরিসহ সোনার অলংকারের দাম নির্ধারণের বিষয়ে ‘বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই’ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তারা বলেছে, নতুন পদ্ধতিতে সোনার দাম নির্ধারণের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে পরামর্শ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরামর্শ পাওয়ার পর বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জুয়েলার্স সমিতি গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, ৩ ফেব্রুয়ারি সমিতির অতিরিক্ত সাধারণ সভায় সোনার অলংকারের সঙ্গে ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে পুনরায় মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। তবে স্বচ্ছতার জন্য বিষয়টিতে বিদ্যমান আইনের আলোকে পরামর্শ চেয়ে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট শাখায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হয় বা করোনাকালে খাতটি কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে, তা মূল্যায়ন করা হবে।

ভ্যাট, মজুরিসহ দাম নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আগের মতোই সোনা ও রুপা বেচাকেনা করার অনুরোধ জানিয়েছে জুয়েলার্স সমিতি। তারা বলেছে, সোনার দাম নিয়ে সব সিদ্ধান্ত আগের মতোই লিখিতভাবে জানানো হবে।

জুয়েলার্স সমিতি এই ব্যবসায়ে স্বচ্ছতা আনতে ভ্যাট, মজুরিসহ সোনার অলংকারের দাম পুনর্নির্ধারণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও সে রকম হতে পারে। তাহলে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ২২ ক্যারেট বা ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার টাকায় পৌঁছাবে। অবশ্য প্রচলিত আইন-কানুন মেনে চলা প্রতিষ্ঠান থেকে সোনার অলংকার কিনতে গেলে এখনো এ রকম টাকাই লাগে। তবে ভ্যাট, মজুরিসহ সোনার দাম নির্ধারণের বিরোধিতা করছেন অনেক ব্যবসায়ী। সে কারণে নতুন পদ্ধতিতে দাম নির্ধারণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত কী হবে, সেটি নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছেন সমিতির নেতারা।