রেস্তোরাঁ ভ্যাট দিতে চায় ৫% হারে

দেশের রেস্তোরাঁমালিকেরা সবাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) দিতে চান। তবে তাঁরা ভ্যাটের হার কমানোর দাবি করেছেন। পাশাপাশি ভ্যাট ফাঁকি রোধে রেস্তোরাঁগুলোতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোর দাবিও তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি গত মঙ্গলবার এসব দাবি জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে একটি আবেদন করেছে। এতে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ করার অনুরোধ জানানো হয়।

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. ফিরোজ আলম প্রথম আলোকে, রেস্তোরাঁয় খাবার তৈরিতে যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়, তার বেশির ভাগ ভ্যাটমুক্ত। ফলে রেয়াত নেওয়া যায় না। এতে খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের প্রভাব অনেক বেশি হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই ভোগান্তি ছাড়া ভ্যাট দিতে চাই। হারটি ৫ শতাংশ করা হলে সবাই ভ্যাট দেবে। এতে সরকারের রাজস্ব অনেক বাড়বে। ভোক্তারাও সুফল পাবেন।’

এনবিআরকে দেওয়া চিঠিতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, রেস্তোরাঁ খাত দেশের সেবা খাতের একটি বড় খাত। কিন্তু ভ্যাটের মূলনীতির সঙ্গে রেস্তোরাঁ খাতের কর নির্ধারণ প্রক্রিয়ার অসামঞ্জস্যতা থাকায় সম্ভাবনা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। তারকাসম্পন্ন ও বিদেশি রেস্তোরাঁ ছাড়া বাকি সব (এসি/নন-এসি) রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়, অন্যান্য পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে রেয়াত সুবিধা পায়। এ কারণে সাধারণভাবে প্রকৃত ভ্যাট দাঁড়ায় ৩ থেকে ৫ শতাংশ। বিপরীতে রেস্তোরাঁ রেয়াত পায় না। ভ্যাট দাঁড়ায় ১৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি রেস্তোরাঁ রয়েছে।