সম্পূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না বারাকার দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র

চট্টগ্রামের পটিয়ায় কর্ণফুলী নদীর তীরে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের দুটি সহযোগী বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার জাতীয় গ্রিডে ২১৫ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার বিদ্যুৎ সরবরাহে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কিন্তু জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতা কম থাকায় বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে পারছে না।

সরেজমিনে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি ঘুরে সম্প্রতি এমনটাই জানা গেছে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটির উদ্যোক্তারা সাংবাদিকদের জন্য এই সরেজমিন পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেন। তাঁরা বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটির উৎপাদনসহ সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটির ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড। এটি প্রবাসী বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের একটি প্রতিষ্ঠান।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর কাদির সাংবাদিকদের বলেন, পুরোপুরি প্রস্তুত থাকলেও জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন লাইনের অপর্যাপ্ততার কারণে এখন সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) সঞ্চালন লাইনের সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করছে। তা হয়ে গেলে আগামী মে মাসের দিকে পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে পারবে কেন্দ্র দুটি।

উদ্যোক্তারা জানান, কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ১৫ একর জায়গায় পাশাপাশি অবস্থানে গড়ে তোলা হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি। ফার্নেস তেলে চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটিতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। প্রায় দেড় বছর আগে এই দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। এর মধ্যে কর্ণফুলী পাওয়ার ১১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এবং বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেড ১০৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র।

সাংবাদিকদের উদ্যোক্তারা বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি নির্মাণে বারাকা ইপিসি (প্রকৌশল, ক্রয় ও নির্মাণ) ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেছে। দেশীয় প্রকৌশলীদের দিয়ে কাজ করানোর ফলে ১০০ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হয়েছে।

এদিকে বারাকা গ্রুপের বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানির প্রান্তসীমা মূল্য (কাট-অফ প্রাইস) নির্ধারণে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি।