হাংরিনাকি এখন দারাজের

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে দারাজ ও হাংরিনাকি একীভূত হওয়ার ঘোষণা দেয়।
ছবি: প্রথম আলো

ফুড ডেলিভারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘হাংরিনাকি’ কিনে নিল দারাজ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে দারাজ ও হাংরিনাকি একীভূত হওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে কত টাকার বিনিময়ে এই একীভূতকরণ হয়েছে, তা এখনো প্রকাশ করেননি দুই পক্ষের কর্ণধারেরা।

এর মাধ্যমে হাংরিনাকির সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছে দারাজ। তবে এতে হাংরিনাকির বর্তমান ব্যবসায়িক কার্যাবলিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। হাংরিনাকির বর্তমান কর্মীরাই কাজে নিয়োজিত থাকবেন। সরাসরি দারাজের পরিচালনায় পৃথক ও স্বতন্ত্র ফুড প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচালিত হবে হাংরিনাকি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দারাজ কিনে নেয় চীনা ই–কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা।

দারাজ কেন হাংরিনাকি কিনল—এ প্রশ্নের জবাবে দারাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, দারাজের ফুড ব্যবসা নেই। ফুড ব্যবসায় যেতে হাংরিনাকি কেনা হয়েছে। তা ছাড়া হাংরিনাকি নামটাও দারাজকে আকর্ষণ করেছিল। দারাজ যেমন ৬৪ জেলায় আছে, হাংরিনাকিও ৬৪ জেলায় থাকবে।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম ফুড ডেলিভারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হাংরিনাকি। দেশের পাঁচটি শহরে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট, ক্লাউড কিচেন এবং হোম কিচেন নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার গ্রাহককে প্রতিদিন পৌঁছে দিচ্ছে সুস্বাদু খাবার। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ এখন তাঁদের পছন্দমতো খাবার অর্ডার করতে হাংরিনাকি ব্যবহার করেন।

অন্যদিকে, দারাজ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস। দারাজ ক্রেতা ও বিক্রেতার সংযোগ ঘটানোর মাধ্যমে লক্ষাধিক বিক্রেতার ক্ষমতায়নে কাজ করছে। শতাধিক ক্যাটাগরির আওতায় কোটিরও বেশি পণ্য পাওয়া যায় দারাজে, যার চাহিদা পূরণে প্রতি মাসে প্রতিষ্ঠানটি দেশের আনাচকানাচে ২০ লাখেরও বেশি প্যাকেজ ডেলিভারি দিয়ে থাকে।