বৈদ্যুতিক মোটরের কনটেইনারে মিলল দুবাইয়ের গুঁড়া দুধ

কনটেইনারে থাকার কথা বৈদ্যুতিক মোটর। কিন্তু কনটেইনার খুলে পাওয়া গেল নিডো ব্র্যান্ডের গুঁড়া দুধ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে কনটেইনার খুলে এই চিত্র দেখতে পান কাস্টমস কর্মকর্তারা।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চালানটিতে ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি নিডো ব্র্যান্ডের গুঁড়া দুধ পাওয়া গেছে। এতে ৫৫ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে আমদানিকারক। বৈদ্যুতিক মোটরে শুল্ক–কর গুঁড়া দুধের চেয়ে কম। এ জন্য বৈদ্যুতিক মোটরের ঘোষণা দিয়ে গুঁড়া দুধ নিয়ে আসে আমদানিকারক।

এই পণ্য আমদানি করেছে ঢাকার নওয়াবপুরের পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টস। শিপিং এজেন্ট ছিল বিএস কার্গো এজেন্সি লিমিটেড। চালানটি আমদানি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে।

যেভাবে ধরা পড়ল চালানটি

গত বৃহস্পতিবার ১৭ কোটি টাকা মূল্যের এক কনটেইনার মদের চালান জব্দ করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এই মদের চালান পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট বিএস কার্গোর কী কী পণ্য আছে এবং রপ্তানি বন্দর দুবাই থেকে কোন কোন পণ্য আমদানি হয়েছে, তা যাচাই শুরু করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

মদের চালানের মতো গুঁড়া দুধের চালানটিরও শিপিং এজেন্ট বিএস কার্গো এজেন্সি লিমিটেড। দুটিই এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বন্দর থেকে। দুবাই থেকে বৈদ্যুতিক মোটর আমদানির ঘোষণায় সন্দেহ হয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের। তাই মদের চালান জব্দের মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় কাস্টমস কর্মকর্তারা এই চালানও জব্দ করেন। এ বিষয়ে বিএস কার্গো এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এস এম মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই পণ্য খালাসের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

জানতে চাইলে কাস্টমসের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।