দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই বন্দরে বিদেশি অপারেটর

চট্টগ্রাম বন্দর
ফাইল ছবি

দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দিয়েই চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন টার্মিনালগুলোতে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। রোববার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালে নতুন সংগ্রহ করা যন্ত্রপাতি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব তিনি এ কথা বলেন।

বন্দর কর্তৃপক্ষ কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো–নামানো ও স্থানান্তরকাজের জন্য ২৪টি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করেছে। ২০২১ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত এসব যন্ত্রপাতি ধাপে ধাপে কেনা হয়। এসব যন্ত্রপাতি নতুন করে উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নৌপরিবহন খাতে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। এ জন্যই বিশ্বের বড় বড় অপারেটররা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তবে আমরা দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই তাদের স্বাগত জানাব।’

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল উপস্থিত ছিলেন।

৩৯৩ কোটি টাকার ২৪ যন্ত্র
জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো–নামানো, ইয়ার্ডে স্থানান্তর, কনটেইনারের ভেতর থেকে ভারী পণ্য সরিয়ে আনা এবং ভারী পণ্য ওঠানো–নামানোর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সাত ধরনের ২৪টি যন্ত্র সংগ্রহ করেছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে চলতি বছরে আটটি, ২০২২ সালে ১২টি এবং ২০২১ সালে চারটি যন্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। দেরিতে উদ্বোধন হলেও এসব যন্ত্র বন্দরের কাজে যুক্ত হয়েছে।

সংগ্রহ করা যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো–নামানোর চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেন। এ নিয়ে বন্দরে গ্যান্ট্রি ক্রেনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮টিতে। ভারী পণ্য ওঠানো–নামানোর ১০০ টন ক্ষমতার দুটি ক্রেন যুক্ত হয়েছে বন্দরে। আগে এই সক্ষমতার ক্রেন ছিল না। এই ক্রেন সংগ্রহের ফলে এখন ভারী পণ্য ওঠানো–নামানো সম্ভব হবে।

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল সাংবাদিকদের বলেন, এসব যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে বন্দরে যন্ত্রপাতির পর্যাপ্ত সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী পরে বন্দর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে স্থাপিত ট্রেনিং সিমুলেটর ও নবনির্মিত অফিসার্স ডরমিটরি ভবন উদ্বোধন করেন। এরপর বন্দর স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৬তম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।