করের আওতা বৃদ্ধি ও উৎসে কর কর্তন যৌক্তিক করার প্রস্তাব আইসিএবির
আসছে বাজেটে দেশের অর্থনীতির উন্নতির ধারা ধরে রাখতে করের আওতা বৃদ্ধি ও উৎসে কর কর্তন যৌক্তিক করার প্রস্তাব দিয়েছে সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদদের সংগঠন ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস বাংলাদেশ (আইসিএবি)। পাশাপাশি বন্ড সুবিধার বাইরে যেসব রপ্তানিকারক আছে, তাদের বন্ড সুবিধার আওতায় আনতে বলেছে সংগঠনটি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গতকাল বুধবার আইসিএবির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাব দেন সংগঠনটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে আগের মতোই চলতি বছরের বাজেট উপলক্ষে প্রস্তাব পাঠিয়েছে আইসিএবি। আগের বছরে জাতীয় বাজেটে আমাদের প্রস্তাবনাসমূহের অনেকাংশই গৃহীত হয়েছে, তার জন্য আমরা এনবিআর ও সরকারকে সাধুবাদ জানাই।’
তিনি করের আওতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে যেসব বৈশ্বিক কোম্পানি আছে, তাদের ডিজিটাল সার্ভিসের জন্য ডিডাকশন অব সোর্স ট্যাক্স (ডিএসটি) চালু করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রফিট শেয়ারিং রেশিও চালুর উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’
মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে করপোরেট করের হার ২৭ দশমিক ৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ব্যবসার ক্ষেত্রে যেমন কাঁচামাল আমদানি, পণ্য সরবরাহ ফি পরিশোধ এগুলোর ক্ষেত্রে উচ্চহারে উৎসে কর কর্তন করা হয়। এসব ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন যৌক্তিকীকরণ করতে হবে।
করসংক্রান্ত ব্যয়কে নিয়ন্ত্রণ করার সুপারিশ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশের সরকার প্রিন্সিপাল অব ইকোনমি নামক একটি নীতি গ্রহণ করে থাকে। এর অর্থ হলো, কর আদায়ের বিপরীতে উচ্চ খরচ পরিহার করা। সুতরাং আমাদের দেশেও কর আদায়ের বিপরীতে অযাচিত খরচ পরিহার করে কর রাজস্বকে বাড়াতে হবে।’
করব্যবস্থাকে আংশিক ডিজিটাল না করে সামগ্রিক ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করলে মূল্য সংযোজন কর আদায়ের অঙ্ক অনেক বাড়বে বলে জানান মো. মনিরুজ্জামান। তিনি নির্ধারিত সীমার বেশি ব্যবসা করা একক বা যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃহৎ কর অঞ্চলে নেওয়ার প্রস্তাব দেন।