ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে কোটা চেয়ে নতুন চিঠি
ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছয় পণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা (নির্ধারিত পরিমাণ) পাওয়ার বিষয়টি ঝুলে গেলেও নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছে। শুধু তা–ই নয়, আগের প্রস্তাবে মসুর ডাল ছিল না। নতুন প্রস্তাবে এটিও যুক্ত হয়েছে। সে হিসেবে পণ্য দাঁড়িয়েছে ছয়টির বদলে সাতটি। আবার কিছু পণ্যের চাহিদাও বেড়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এক চিঠিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বাংলাদেশের সাত পণ্যের নতুন চাহিদার কথা জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন তা ভারত সরকারকে জানাবে। পণ্যগুলো হচ্ছে চাল, গম, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, চিনি ও মসুর ডাল।
আট মাস আগে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রথম ভারত থেকে আট ধরনের নিত্যপণ্যে কোটা চেয়ে প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবের মূল কথা হচ্ছে পণ্যগুলো আমদানিতে বাংলাদেশের জন্য ভারত যেন বার্ষিক কোটা বরাদ্দ রাখে। ভারতের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী প্রিয়ুশ গয়ালের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবের পরামর্শ দিয়ে তখন এ বিষয়ে সম্মতিও জানানো হয়।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ভারত এখন দ্রুততম সময়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) তৈরি করবে। এরপর বাংলাদেশও করবে এমওইউ।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতকে আগে যে ছয় পণ্য আমদানিতে কোটা চেয়েছিল, তার মধ্যে ছিল চাল ১৫ লাখ টন, গম ২৫ লাখ টন, চিনি ১০ লাখ টন, পেঁয়াজ ৬ লাখ টন, আদা ১ লাখ টন ও রসুন ৫০ হাজার টন। গতকাল নতুন করে চাওয়া হয়েছে চাল ১৫ লাখ ৫০ হাজার টন, গম ২৬ লাখ টন, চিনি ১০ লাখ টন, পেঁয়াজ ৮ লাখ টন, আদা ৫০ হাজার টন, রসুন ৭০ হাজার টন ও মসুর ডাল ১ লাখ টন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে আগে জানানো হয়েছিল, চালের কোটায় ৮ থেকে ১০ লাখ টন আমদানি করা হবে সরকারিভাবে। বাকিটা আমদানি করবে বেসরকারি খাত। আর গমের কোটায় সরকার ৫ থেকে ৭ লাখ টন আনবে, বাকিটা আসবে বেসরকারিভাবে।
বাংলাদেশ ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারত থেকে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে। তার আগের অর্থবছরে দেশটি থেকে আমদানি করা হয় ৮৫৯ কোটি ডলারের পণ্য।