চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানের দুই কনটেইনার পেঁয়াজ

বন্দরে পাকিস্তানি পেঁয়াজ পরীক্ষা করে দেখছেন উদ্ভুদসংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলমছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আজ বুধবার পাকিস্তান থেকে দুই কনটেইনার পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এই দুই কনটেইনারে ৫৮ হাজার কেজি পেঁয়াজ রয়েছে। ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার ছয় দিনের মাথায় এই পেঁয়াজ আমদানি হলো। যদিও এই পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এক মাস আগে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পাকিস্তান থেকে প্রথম পেঁয়াজ আমদানি হয় গত ১৩ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানির অন্যতম বড় উৎস ভারত পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য টনপ্রতি ৮০০ ডলারে উন্নীত করার পরই বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়তে থাকে। আজকের চালানসহ ২৮টি চালানে পাকিস্তান থেকে মোট আমদানি হয় ১ হাজার ৪৮০ টন পেঁয়াজ।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, পেঁয়াজের চালানটি পরীক্ষা করে উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন কাস্টমস থেকে ছাড়পত্রসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে আমদানিকারক চালানটি খালাস করতে পারবেন।

পাকিস্তান ছাড়া পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে চীন থেকেও। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত চীন থেকে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৮৯১ টন পেঁয়াজ। সব মিলিয়ে বিকল্প দেশ থেকে এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৩৭১ টন।  

৭ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপরই রাতারাতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে প্রশাসনের অভিযান ও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের।