খাদ্য পরিবহন চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় দেশের ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

১৭ জুলাই থেকে ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ (বিএসজিআই) বা কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্য পরিবহন চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাশিয়ার অস্বীকৃতির কারণে গমের সুষ্ঠু সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এতে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ খাদ্যঘাটতির মুখে পড়তে পারে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বিএসজিআই চুক্তি নবায়ন না হলে শুধু মানবিক বিপর্যয় ঘটবে না, বরং বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। বিএসজিআইয়ের অধীনে ৩২ মিলিয়ন মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী ৩টি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে ৩টি মহাদেশের ৪৫টি দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর গম আমদানির পরিমাণ যুদ্ধ-পূর্ব সময়ের তুলনায় অনেকাংশে অপরিবর্তিত ছিল। কিন্তু রাশিয়া এই চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর কারণে আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মানবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হবে এবং লাখ লাখ মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা খাদ্যঘাটতির শিকার হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানি অব্যাহত রাখা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জোরালোভাবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সমর্থন করেন। কারণ, রাশিয়া থেকে অর্থ প্রেরণ, বিমা এবং রাশিয়ার নিজস্ব কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বর্তমানে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে বিএসজিআই চুক্তির নবায়ন বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক।

বিবৃতিতে সই করেছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ডিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. সামির সাত্তার, এমসিসিআইয়ের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, সিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, ফিকির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়।