ফ্ল্যাটের নিবন্ধন খরচ ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি রিহ্যাবের

ফাইল ছবি প্রথম আলো

ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় ৭ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ কয়েকটি দাবি করেছেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের নেতারা। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তাঁরা।

রাজধানীর সচিবালয়ে আজ সোমবার দুপুরে অর্থ উপদেষ্টার সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে রিহ্যাবের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল। এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জমিজমা বিক্রিতে অপ্রদর্শিত অর্থ কমিয়ে আনতে নিবন্ধন ব্যয় কিছুটা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। আগামী বাজেটে জমি বিক্রেতার হাতে অপ্রদর্শিত অর্থ সৃষ্টি কমাতে প্রকৃত বিক্রয় মূল্যে সম্পত্তি নিবন্ধনে উৎসাহ দিতে মূলধনি মুনাফা কর বা উৎসে কর কমানো হয়েছে। এর আগে দুই বছর আগে জমির নিবন্ধন কিছুটা কমানো হয়েছিল। তখন জমি নিবন্ধনের খরচ তথা করের পরিমাণ মৌজা ভিত্তিতে করা হয়।

জানা যায়, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধনে বাজার মূল্য নির্ধারণ না করে আগের মতো মৌজা মূল্য বহাল রাখার দাবি করেছেন রিহ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। এ ছাড়া নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গেইন ট্যাক্স ৪ শতাংশ নির্ধারণ এবং রড, সিমেন্টের কাঁচামাল, রং প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন নির্মাণ উপকরণের ওপর অতিরিক্ত কর প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বর্তমানে ফ্ল্যাটের আকারভেদে নিবন্ধন ব্যয় সাড়ে ১৫ শতাংশ হয়ে থাকে। তার মধ্যে গেইন ট্যাক্স ৬ শতাংশ (ঢাকার বাইরে ৩ ও ৪ শতাংশ), স্ট্যাম্প শুল্ক দেড় শতাংশ, নিবন্ধন ফি ১ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ফি ৩ শতাংশ এবং ১ হাজার ৬০০ বর্গফুট পর্যন্ত ভ্যাট ২ শতাংশ ও ১ হাজার ৬০০ বর্গফুটের ওপরে ভ্যাট সাড়ে ৪ শতাংশ।