ভোটার–সংক্রান্ত অভিযোগ এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ আদালতের

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ভোটার-সংক্রান্ত অভিযোগ এক সপ্তাহে মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য এফবিসিসিআই আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ তুলে এফবিসিসিআই আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট ফোরামের প্যানেল লিডার। ওই আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল রোববার হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মেহরীন হাসান।

আদেশের পর মুস্তাফিজুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, বিজিএমইএর ২০২৪-২৬ সাল মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনী বোর্ড। খোঁজ নিয়ে ফয়সাল সামাদ জানতে পারেন, তালিকায় এমন অনেকেই আছেন যাঁদের টিআইএন ভুল বা হালনাগাদ আয়কর রিটার্ন জমা দেননি। এ কারণে তিনি নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেন। সেই আপিল আংশিক মঞ্জুর করেন আপিল বোর্ড। এর বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এফবিসিসিআইয়ের আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে দরখাস্ত করেন। তবে দরখাস্ত শুনানিতে বিলম্ব করায় রিট করা হয়েছে। আজকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে শুনানি করে আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে হবে। ওদের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম এসেছে তাঁদের কতজনের বৈধ টিআইএন আছে এবং কতজন হালনাগাদ আয়কর রিটার্ন দাখিল করছেন, এ বিষয়টি নির্ণয়ের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহায়তা নেবে এফবিসিসিআই আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনাল।  

গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচনী বোর্ড ২ হাজার ৫৬৩ জনের প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। পরে ফোরামের প্যানেল লিডার ফয়সাল সামাদ ৪২৯ জনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল বোর্ডে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬৭ জন ভোটারকে বাদ দেয় আপিল বোর্ড। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় আছেন ঢাকার ২ হাজার ৩২ ও চট্টগ্রামের ৪৬৪ জন।