সরকার নির্ধারিত দামে চিনি কিনতে পারছেন না ভোক্তা

চিনি
ফাইল ছবি

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। ভোক্তাদের বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে চিনি। তা–ও আবার মোড়কজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে কম। খোলা চিনির ওপরেই ক্রেতাদের ভরসা রাখতে হচ্ছে। চিনির দামে প্রভাব না পড়লেও গত এক সপ্তাহে বাজারে মাংস ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। আর চাল, ডাল, আটা, সয়াবিনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল।

চলতি মাসের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি কেজি ১০৪ টাকা; আর মোড়কজাত চিনির দাম নির্ধারণ করা হয় ১০৯ টাকা কেজি।

অবশ্য সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে চিনি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১১২ থেকে ১১৫ টাকায়।

রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার ও কারওয়ান বাজার গতকাল ঘুরে দেখা গেছে, টিসিবির দামের কাছাকাছি মূল্যেই চিনি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের রব স্টোরের স্বত্বাধিকারী নাঈম হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারিভাবে চিনির দাম কমানো হলেও বাজারে ঈদ উপলক্ষে চিনির দাম একটু বাড়তি। ক্রেতাদের চাহিদা থাকলেও প্যাকেটজাত চিনি দিতে পারি না।

চিনির দাম বাড়লেও রোজার শেষের দিকে এসে মাংস ও ডিমের বাজার কিছুটা কমতির দিকে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯৫ থেকে ২০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। কমেছে গরুর মাংসের দামও। প্রতি কেজি ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শবেবরাতের সময় গরুর মাংস দাম প্রতি কেজি ৮০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

বাজারে কম দামের মাছের মধ্যে তেলাপিয়া ও পাঙাশের দামও কিছুটা কমেছে। এই দুই পদের মাছ মানভেদে কেজিতে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোজার শুরুতে এসব মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে ভোক্তাদের। মাছের সঙ্গে সবজির দামও কিছুটা কমেছে। অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, আটা ও সয়াবিনের মতো নিত্যপণ্যের দাম।

মগবাজারের রোজ জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা আবদুল জলিল বলেন, বাজারে চাল, ডাল, আটা, সয়াবিনের মতো নিত্যপণ্যের দামে বড় কোনো পরিবর্তন নেই। অনেক দিন ধরেই এসব পণ্যের দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে। বাজারেও ক্রেতা কম বলে দাবি করলেন তিনি।