এনআরবি ইসলামিক লাইফের চেয়ারম্যান-সিইওর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ, তদন্ত চায় মন্ত্রণালয়

এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান কিবরিয়া গোলাম মোহাম্মদ ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহ জামাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চায় সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত সোমবার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান এম আসলাম আলমের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ তদন্ত করার কথা বলেছে। তদন্ত শেষে তা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানানোর কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকের কাছে ১৯ জুন এনআরবি ইসলামিক লাইফের একজন পলিসি হোল্ডার এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইওর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইডিআরএ চেয়ারমানকে তদন্ত করার চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম আসলাম আলমের সঙ্গে আজ বুধবার যোগাযোগ করলে তিনি সংস্থাটির মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি মাত্র এসেছে। শিগগির এ ব্যাপারে কাজ শুরু হবে।’

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে দাখিল করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কিবরিয়া গোলাম মোহাম্মদ সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের নারীবিষয়ক সম্পাদক। তাঁদের প্রধান সহযোগী সিইও শাহ জামাল হাওলাদার।

আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থায়নকারী হওয়ায় উপঢৌকন হিসেবে ২০২১ সালে বিমা কোম্পানিটির লাইসেন্স দেওয়া হয়। শুরুর দিকে ভালো চললেও আওয়ামী লীগের তহবিলে চাঁদা দেওয়াসহ অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার করতে থাকায় কোম্পানিটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে।

চেয়ারম্যান ও সিইওর যোগসাজশে অনুমোদনহীন বিমা পরিকল্প বিক্রি, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা খরচ, উচ্চ হারে পলিসি তামাদি হওয়া, কোম্পানির বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা হাতে রাখা, একক প্রিমিয়ামকে মেয়াদি দেখিয়ে তহবিল লোপাট ইত্যাদি হয়েছে বলে আইডিআরএর আগের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল। অভিযোগে এ কথাও তুলে ধরা হয়। আত্মসাৎ ও পাচার অর্থ ফেরত আনতে অভিযোগপত্রে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

কোম্পানির চেয়ারম্যান কিবরিয়া গোলাম মোহাম্মদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, তিনি দেশের বাইরে থাকতে পারেন, ভেতরেও থাকতে পারেন। সিইও শাহ জামাল হাওলাদারের সঙ্গে খুদে বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন জানিয়েছেন।