অনেক চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে
চীনের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে বলে জানিয়েছেন চায়না টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশন ফর ফরেন ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের (সিটিইএক্সআইসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুয়াং লিয়ানশেং।
হুয়াং লিয়ানশেং বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন পোশাক কারখানা পরিদর্শনকালে কর্মপরিবেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখতে পেয়ে আমরা আনন্দিত। এখানকার শ্রমিকদের কাজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্যমী মনোভাব প্রশংসনীয়।’ তিনি আরও বলেন, অনেক চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নানসহ সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন সিটিইএক্সআইসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুয়াং লিয়ানশেং। তিনি চীনের বস্ত্র ও পোশাকশিল্পের ১৫ সদস্যের শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।
আজ রোববার রাজধানী ঢাকায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক আশিকুর রহমান, শামস মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
হুয়াং লিয়ানশেং বলেন, ‘আমরা চীনা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশ সফরের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই, যারা কিনা এখনো বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। বিনিয়োগের জন্য এই দেশটির দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা চীনা কোম্পানিগুলোকে এ দেশে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা অন্বেষণে উৎসাহিত করবে।’
বৈঠকে পোশাক ও বস্ত্র খাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি সহজ করতে সম্ভাব্য যৌথ উদ্যোগ, পারস্পরিক বাণিজ্যের সুবিধা অর্জনে জোর দেওয়া হয়। বিশেষ করে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ, কৌশলগত অংশীদারত্ব ও ব্যবসার দিগন্ত সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বিভিন্ন দিক ও আর্থসামাজিক খাতে শিল্পের অবদান তুলে ধরেন। বাংলাদেশ কীভাবে পোশাকশিল্পের পরিবর্তিত বিশ্ববাজারের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে উচ্চমূল্যের ওভেন ও কৃত্রিম তন্তুর পোশাক তৈরির দিকে ঝুঁকছে, তা উল্লেখ করেন।
বিজিএমইএর নেতারা বাংলাদেশে উচ্চমূল্যের বস্ত্র ও সংযোগ শিল্পে চীনাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, এতে উভয় দেশই লাভবান হবে, বিশেষ করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সংযোগ শিল্পে চীনা বিনিয়োগ সহায়ক হবে। জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনের সহায়তাও প্রত্যাশা করেন তাঁরা।