দুবাইয়ের বাড়ির বাজার চাঙা, কিনছেন ভারতীয় ধনীরাও

দুবাই
রয়টার্স ফাইল ছবি

৮০ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ডলারে দুবাইয়ে বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বাড়িটি দুবাইয়ের উপকূলবর্তী একটি ভিলা। পাম জুমেইরার বাড়িটি চলতি বছরের শুরুর দিকে মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ ছেলে অনন্ত আম্বানির জন্য কেনা হয়।

মার্চ মাসে যখন এই বাড়ি কেনা হয়, তখন এটি ছিল দুবাইয়ের সবচেয়ে দামি বাড়ি। তবে এই রেকর্ডের স্থায়িত্ব ১০ মাস। এরপর এক অজানা ক্রেতা ১৮ শয়নকক্ষ ও ৮ বাথরুমের একটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনেন ৮ কোটি ২৪ লাখ ডলারে। এরপর চলতি মাসে দুবাইয়ের জুমেইরা দ্বীপে ১৬ কোটি ৩০ লাখ ডলারে আরেকটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনা হয়েছে। দুবাইয়ের ভূমি অধিদপ্তর অবশ্য এই বাড়ির ক্রেতার নামও প্রকাশ করেনি। অর্থাৎ এটি এখন দুবাইয়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি।

এদিকে আরেক ভারতীয় ধনকুবের লক্ষ্মী মিত্তালও সম্প্রতি দুবাইয়ে বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন বলে জানা গেছে। অর্থাৎ দুবাইয়ের বাড়ির বাজার চাঙা হওয়ার পেছনে ভারতীয় ধনকুবেরদের হাতও আছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের।

ধনকুবেরদের প্রিয় বিনিয়োগ গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার অতিধনীদের দীর্ঘ মেয়াদে ‘গোল্ডেন ভিসা’ দিচ্ছে। বিদেশিদের বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও শিথিল করা হচ্ছে। লেনদেনের ৭০ শতাংশ হচ্ছে নগদ অর্থে।

পৃথিবীর সব দেশের ক্ষমতা ও সামর্থ্যবানেরা সেখানে বাড়ি কিনছেন। রাশিয়ার তেল ব্যবসায়ীরা পশ্চিমা দেশগুলোতে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে যেমন দুবাইয়ে বাড়ি কিনছেন, তেমনি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ফুলেফেঁপে ওঠা পার্শ্ববর্তী আরব দেশগুলোর ব্যবসায়ীরাও পাড়ি জমাচ্ছেন সেখানে। ফলে দুবাই এখন বহুজাতিক ও বহু সাংস্কৃতিক নগর হয়ে উঠছে। ব্রিটিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহাম, বলিউড তারকা শাহরুখ, আম্বানি—তাঁরা এখন পরভূমে পরস্পরের প্রতিবেশী।

অথচ এক দশকের কিছু বেশি সময় আগে দুবাই শহরের সম্পদ বাজার ধসে পড়ে। আর এখন সেই শহর বিশ্বের সব বড় বড় ব্যবসায়ীর পছন্দের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

বিশ্বের বিলাসবহুল বাড়ির সবচেয়ে বড় বাজারে পরিণত হয়েছে দুবাই। কিন্তু দুবাই শহরের বড় বড় আবাসন ব্যবসায়ীদের ব্যাংকে শত শত কোটি ডলার ঋণ আছে। একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ধূসর তালিকায় আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ অর্থ সে দেশে ঢুকছে—এমন সন্দেহ থেকেই তারা আরব আমিরাতকে ধূসর তালিকায় রেখেছে। সন্দেহ আরও বৃদ্ধির কারণ হলো, দুবাইয়ের ভূমি বিভাগ এসব বাড়ির ক্রেতাদের নাম প্রকাশ করে না।