বিটিএমএর নেতৃত্বে বদল, নতুন সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল

শওকত আজিজ রাসেলছবি: সংগৃহীত

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বেসরকারি বাণিজ্য সংগঠনের শীর্ষ পদ থেকেও বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি পদে পরিবর্তন এসেছে। বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যে বিটিএমএতেই এমনটা প্রথম ঘটল।

বিটিএমএর (বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন) সভাপতি পদে টানা তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছিলেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী। আজ রোববার বিটিএমএ পর্ষদের জরুরি সভায় মোহাম্মদ আলীকে সরিয়ে সভাপতির পদে বসেন আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেল। তাঁকে সভাপতি পদে বসাতে তাঁর ছেলে আনাফ আজিজ সংগঠনের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিন মেয়াদে সংগঠনের সহসভাপতি ও একাধিক মেয়াদে পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন শওকত আজিজ রাসেল।

জানা গেছে, সরকার পতনের পরদিনই একজন পরিচালক বিটিএমএর কার্যালয়ে গিয়ে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলেন। তারপর বাণিজ্য সংগঠনটির নেতৃত্ব বদলের আলোচনা জোর পায়। রাজধানীর গুলশানে আজ রোববার বিকেলে বিটিএমএর পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতি পদ পরিবর্তনের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। বিদেশ থেকে মোহাম্মদ আলী তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠান।

এদিকে পর্ষদের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন আনাফ আজিজ, যিনি শওকত আজিজ রাসেলের ছেলে। পরে আনাফের জায়গায় রাসেলকে প্রথমে পরিচালক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। যদিও পর্ষদের কয়েকজন সদস্য রাসেলকে আপাতত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করার প্রস্তাব করেছিলেন। পরে মোহাম্মদ আলী বিদেশ থেকে ফিরলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় রাসেলকে সভাপতি পদে আনার কথা বলেন তাঁরা। কিন্তু দু-তিনজন সদস্য তীব্র বিরোধিতা করায় সেটি আর এগোয়নি। রদবদলের পর বিদায়ী সভাপতি মোহাম্মদ আলীকে পরিচালক হিসেবে পর্ষদে রাখা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিটিএমএর সহসভাপতি মো. ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সবার সম্মতিক্রমেই নতুন সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বিদায়ী সভাপতিও স্বাস্থ্যগত এবং ব্যবসায়িক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। নতুন সভাপতি নিয়োগে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।