আইপিও আবেদনে লাগবে ৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ

শেয়ারবাজার
গ্রাফিকস: প্রথম আলো

দেশের শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এখন থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে কোটাসুবিধা পেতে হলে সেকেন্ডারি বাজারে দ্বিগুণের বেশি বিনিয়োগ থাকতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের।

বিএসইসির কমিশন সভায় গতকাল সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসইসি। সংস্থাটি বলছে, বাজারে তারল্য সরবরাহ বৃদ্ধি করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, এখন থেকে পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ও গ্র্যাচুয়িটি ফান্ড ছাড়া অন্য সব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে আইপিওতে আবেদনের আগে সেকেন্ডারি মার্কেটে তিন কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। আগে বিনিয়োগের এই পরিমাণ ছিল এক কোটি টাকা। সেটি এখন এক লাফে দুই কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ও গ্র্যাচুয়িটি ফান্ডের ক্ষেত্রে এই বিনিয়োগসীমা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেড় কোটি টাকা করা হয়েছে। আইপিও প্রসপেক্টাস বা বিবরণীপত্র অনুমোদনের সময় বিএসইসি প্রতিটি কোম্পানির আইপিওর জন্য আলাদা আলাদা কাট অব ডেট বা সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করে দেয়। আইপিওতে কোটাসুবিধা পেতে যেসব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করবে, তাদের ওই নির্ধারিত তারিখের আগে সেকেন্ডারি বাজারে নতুন করে নির্ধারিত অঙ্কের এই বিনিয়োগ থাকতে হবে।

বিএসইসি বলছে, বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে বাজারে তারল্য বাড়াতে গত রোববার ঋণসুবিধা বাড়িয়ে দেয় বিএসইসি। ঋণসীমা বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত গতকাল কার্যকর হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে নিজের ১০০ টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে ১০০ টাকা (১: ১) ঋণসুবিধা পাবেন। আগের দিন ঋণ বাড়ানোর পর গতকাল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এদিকে শেয়ারবাজার, মুদ্রাবাজারসহ অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রোববার এক বৈঠক করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেখান থেকে শেয়ারবাজার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়। এসব খবরে গতকাল সূচকের বড় ধরনের উত্থান হয়েছে।