আজ থেকে উঠে গেল ‘ফ্লোর প্রাইস’

আজ রোববার থেকে উঠে গেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোর প্রাইস। ১৫ মাস পর এটি উঠিয়ে নিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত বৃহস্পতিবার এটি উঠিয়ে নেওয়া হবে বলে জানায় বিএসইসি।

শেয়ারের দামের পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়। যাতে বেঁধে দেওয়া ওই সীমার নিচে কোনো শেয়ার নামতে না পারে। এভাবে গত বছরের মার্চে শেয়ারবাজারের ভয়াবহ পতন থামিয়েছিল বিএসইসির তৎকালীন কমিশন। ওই কমিশনে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন এম খায়রুল হোসেন।

ফ্লোর প্রাইস আরোপের আগে ১৮ মার্চ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমেছিল ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ারের দাম না নামায় ২৫ মার্চ ডিএসইএক্স সূচকটি বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার পয়েন্টে।

এদিকে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। তাতে ওই দিন থেকে বন্ধ হয়ে যায় শেয়ারবাজারের লেনদেনও। এর মধ্যে বিএসইসির নেতৃত্বেও বদল আসে। খায়রুল হোসেনের বিদায়ের পর বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। নতুন নেতৃত্ব দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে লেনদেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় একটানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে আবারও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়।

গত জুলাইয়ের পর থেকে শেয়ারবাজারে চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচকটি ৪ হাজার থেকে বেড়ে ৬ হাজার পয়েন্টে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। এর আগে গত ৭ এপ্রিল ৬৬ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছিল। ৩ জুন তুলে নেওয়া হয় আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। আর এখন এসে সব কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলো।

আরও পড়ুন

আজ যেসব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠে গেল সেসব কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি থাকবে বলে করা হচ্ছে। ১৫ মাস পর এটি পুরোপুরি উঠে যাওয়ায় পুঁজিবাজারে কী প্রভাব পড়ে তাই এখন দেখার বিষয়।