এপ্রিল থেকে ব্রোকারেজ হাউস-মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও
ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনপ্রক্রিয়া বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ১ এপ্রিল থেকে কেবল ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিওর আবেদন করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিএসইসির নিয়মিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১ এপ্রিল থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও আবেদন করার সুযোগ থাকবে না। ফলে আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ থেকে রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সময়সীমা অনেকাংশে কমে যাবে।
এসইসির এই নির্দেশনার ফলে বিনিয়োগকারীদের আর দীর্ঘ লাইন দিয়ে আইপিওর আবেদন করতে হবে না। তাঁদের সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকে আইপিওর আবেদন করতে হবে। তবে প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী (এনআরবি) ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর জন্য আগের মতো ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও আবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ বহাল রয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে হামিদ ফেব্রিকসের আইপিওর মধ্য দিয়ে শুরু হয় নতুন আইপিও পদ্ধতির পাইলট প্রকল্প। পরে অন্য আইপিওর ক্ষেত্রেও ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে আবেদন জমা নেওয়া হয়। পাইলট প্রকল্প সফল হওয়ায় ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিওর আবেদন জমার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করল বিএসইসি।
আগের আইপিও ব্যবস্থায় সাবস্ক্রিপশন থেকে শেয়ার লেনদেন শুরু হওয়া পর্যন্ত কমপক্ষে সাত সপ্তাহ সময় লাগত। এখন এ প্রক্রিয়া চার সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি লটারিতে যাঁরা শেয়ার বরাদ্দ পাবেন না, তাঁদের টাকা দ্রুত সংশ্লিষ্ট বিও হিসাবে ফেরত যাবে।