এসএমই বোর্ডে লেনদেন বাড়াতে বিনিয়োগে ছাড়

শেয়ারবাজারে নতুন চালু করা এসএমই বোর্ডে লেনদেন বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের বাধ্যতাবাধকতায় বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল বৃহস্পতিবার এ ছাড় দিয়েছে। গতকাল এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

জানা গেছে, আগে এসএমই বোর্ডে লেনদেন করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকতে হতো। এখন সেই পরিমাণ কমিয়ে ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এর ফলে এসএমই বোর্ডে লেনদেনযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিএসইসির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এখন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগসংক্রান্ত তথ্য সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড নিয়মিতভাবে সরবরাহ করবে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে এসএমই বোর্ডে লেনদেনযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের তালিকা তৈরি করবে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটি। এ জন্য আলাদা করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন করতে হবে না। স্টক এক্সচেঞ্জই নিয়মিতভাবে এ তালিকা হালনাগাদ করবে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে জানতে পারবেন তাঁরা এসএমই বোর্ডে লেনদেন করতে পারবেন কি পারবেন না।

গত বছরের জুনে প্রথম চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এসএমই বোর্ড চালু করা হয়। এর পর সেপ্টেম্বরে চালু হয় ডিএসইতে। তবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে এসএমই বোর্ডের লেনদেন এখনো খুব বেশি জনপ্রিয় হয়নি। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আছে, এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার।