ঢাকার বাজারের লেনদেনের ২২.৪৮% চার কোম্পানির

নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারবাজার ছিল দুই খাতের দখলে। খাত দুটি হলো ব্যাংক ও বিবিধ খাত। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের ৩১ শতাংশই ছিল এ দুই খাতের দখলে। আর বাকি ৬৯ শতাংশ লেনদেন ছিল ১৮ খাতের কোম্পানিগুলোর দখলে।

ব্যাংক ও বিবিধ খাতের ৪টি কোম্পানিই মূলত ডিএসইর লেনদেনে গতকাল রোববার নেতৃত্ব দিয়েছে। কোম্পানি চারটি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন বা বিএসসি, আইএফআইসি ব্যাংক এবং ওয়ান ব্যাংক। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে গতকাল উল্লেখিত চার কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২০১ কোটি টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ চার কোম্পানির কারণেই খাত দুটি গতকাল লেনদেনে শীর্ষ অবস্থানে ছিল।

ঢাকার বাজারের গতকালের মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশই ছিল বিবিধ খাতের। আর ১২ শতাংশ ছিল ব্যাংক খাতের দখলে। বিবিধ খাতের মোট লেনদেনের মধ্যে আবার ৯২ শতাংশই ছিল বেক্সিমকো ও বিএসসির। আর ব্যাংক খাতের মোট লেনদেনের ৫১ শতাংশ ছিল আইএফআইসি ও এনআরবিসি ব্যাংকের। এ চার কোম্পানিই মূলত গতকাল ঢাকার বাজারে লেনদেনের আধিপত্য ধরে রেখেছে। লেনদেনের পাশাপাশি এ চার কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়েছে।

ঢাকার বাজারে গতকাল বেক্সিমকোর শেয়ারের দাম ৫ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪ শতাংশ, বিএসসির শেয়ারের দাম ৭ টাকা বা ১০ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারের দাম ১ টাকা ৩০ পয়সা বা প্রায় ৮ শতাংশ এবং ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের দাম ২ পয়সা বা প্রায় দেড় শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে বছরের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। গতকাল ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স লেনদেন শেষে ৯৬ পয়েন্ট বা প্রায় দেড় শতাংশ বেড়েছে। তাতে দিন শেষে সূচকটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৫৩ পয়েন্টে। ভালো মৌলভিত্তি ও বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের ওপর ভর করেই মূলত সূচকের এ উত্থান হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩২ ব্যাংকের মধ্যে ২৬টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২টির দাম।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংকের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বড় কারণ ছিল সদ্য বিদায়ী বছরের পরিচালন মুনাফা। বছরের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও আশা জাগিয়েছে। কারণ, গত বছরের শেষ কয়েক দিন বাজারে বেশ মন্দাভাব ছিল।