বন্ধ কোম্পানি নুরানী ডায়িংয়ের পর্ষদ পুনর্গঠন করবে বিএসইসি

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)
ছবি: সংগৃহীত

বন্ধ কোম্পানিকে দীর্ঘদিন ধরে কাগজ-কলমে চালু দেখিয়ে আসছিল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি নুরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার। কিন্তু সম্প্রতি দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটির কারখানা ও করপোরেট কার্যালয় পরিদর্শন করে উৎপাদন ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির গতকাল বুধবারের সভায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনের নিরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিএসইসি। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজারে আনার পেছনে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৭ সালের কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪৩ কোটি টাকা বাজার থেকে সংগ্রহ করে। এটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল, ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড সিএপিএম অ্যাডভাইজারি।

কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দিয়েছিল বিএসইসি সাবেক চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। খায়রুল হোসেন কমিশনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল মানহীন কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া নিয়ে। ওই সময় অনুমোদন পাওয়া অনেক কোম্পানির পর্ষদই এখন পুনর্গঠন করছে নতুন কমিশন এসে।

বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পরিদর্শনে বেরিয়ে এসেছে, নুরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটারের কারখানা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করা তথ্যে দেখানো হয়েছে, কোম্পানির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কারণে কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে গতকালের বিএসইসির সভায়।

একই সভায় সেনাকল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদন করা হয়। আইপিওতে ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ছেড়ে কোম্পানিটির ১৬ কোটি টাকা পুঁজি সংগ্রহ করবে। এ টাকা দিয়ে কোম্পানিটি সরকারি সিকিউরিটিজ কেনার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে ও নিজস্ব অফিসের জন্য জায়গা কিনবে। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৯৩ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। আইপিও অনুমোদনের পাশাপাশি বিএসইসি শর্ত জুড়ে দিয়েছে, তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন ও বিতরণ করতে পারবে না।