বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ বাড়ছে

শেয়ারবাজারে সূচক যত বাড়ছে, ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের প্রতি আগ্রহও তত বাড়ছে। তাতে গত কয়েক দিনে বড় মূলধনি ও ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষ পর্যায়ে উঠে এসেছে। এ কারণে গতকাল বৃহস্পতিবারও সূচকের বড় উত্থান হয়েছে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)।

ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল এক দিনে ৬৫ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৮১ পয়েন্টে। এটিই এখন পর্যন্ত প্রধান এ সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান। সূচকটি গতকাল যে উচ্চতায় উঠেছে, তাতে ৭ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক থেকে মাত্র ১৯ পয়েন্ট দূরে রয়েছে। সূচকের ৭ হাজার পয়েন্ট শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি মনস্তাত্ত্বিক সীমা। এ সীমাকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্তও প্রভাবিত হয়। ডিএসইএক্স সূচক ছাড়া অপর দুই সূচক ও বাজার মূলধনেও রেকর্ড হয়েছে। বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচকটি গতকাল ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে। আর শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস সূচকটি ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ছাড়িয়েছে দেড় হাজার পয়েন্টের মাইলফলক।

এদিকে ডিএসইর বাজার মূলধন গতকাল এক দিনেই ৩ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা বেড়েছে। তাতে দিন শেষে বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ কোটি টাকায়। এটি গতকাল পর্যন্ত বাজার মূলধনের রেকর্ড অবস্থান। যেদিন যত বেশি বড় মূলধনি কোম্পানির দাম বাড়ে, বাজার মূলধনও সেদিন তত বৃদ্ধি পায়।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সূচক ৭ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় নতুন করে অনেকে এখন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করছেন। যাঁদের বেশির ভাগই সাধারণ শ্রেণির ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী। এঁদের মধ্যে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করছেন এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যাই বেশি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে এখন খুচরা পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা বেশি সক্রিয়। প্রতিদিনই এ ধরনের বিনিয়োগকারী বাজারে যুক্ত হচ্ছেন। বাজার চাঙা থাকায় ছোটদের পাশাপাশি বড় বিনিয়োগকারীরা বেশ সক্রিয় রয়েছেন।