যে কারণে শেয়ারবাজারে চলছে ব্যাংকের আধিপত্য

দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে ব্যাংক, ওষুধ ও বস্ত্র খাতের আধিপত্য চলছে। আজ বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের প্রায় অর্ধেকই ছিল এ তিন খাতের দখলে। তবে এদিন তিন খাতেরই লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।

ঢাকার বাজারে আজ বুধবার লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত। গত সোমবার শেয়ারের বিপরীতে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন বিধান চালু করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন বিধান অনুযায়ী, যেসব শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৪০-এর কম, সেসব শেয়ারে এখন থেকে ১০০ টাকার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা (১: ০.৮) ঋণসুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। আগে সর্বোচ্চ ঋণসুবিধার এ বিষয়টি সূচকের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সর্বোচ্চ ৮ হাজারে না পৌঁছানো পর্যন্ত সর্বোচ্চ হারে ঋণসুবিধা দেওয়ার বিধান ছিল আগে। সেই বিধান পরিবর্তন করে পিই রেশিওর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে সর্বোচ্চ ঋণসুবিধার বিধান করা হয়। এরপর থেকে ব্যাংক খাতের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়ে যায়। কারণ, ব্যাংক খাতের বেশির ভাগ শেয়ারেরই পিই রেশিও ৪০-এ নিচে রয়েছে।

ঋণের নতুন এ সিদ্ধান্তের পর দুই দিন ধরে ব্যাংক খাতের শেয়ারের লেনদেন বেশ বেড়েছে। এর মধ্যে ব্যাংকের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির ওপর ভর করে গতকাল মঙ্গলবার সূচকের বড় উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। মঙ্গলবার ডিএসইএক্স সূচকটি ১১৫ পয়েন্ট বা প্রায় পৌনে ২ শতাংশ বেড়েছে।

আর আজ বুধবার দাম কমলেও লেনদেনে আধিপত্য ছিল ব্যাংকের শেয়ারের। ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৫ শতাংশই ছিল ব্যাংক খাতের। অর্থাৎ ডিএসইর মোট লেনদেনের এক-চতুর্থাংশই ছিল ব্যাংক খাতের। এ ছাড়া মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ ছিল ওষুধ এবং ১০ শতাংশ ছিল বস্ত্র খাতের। সব মিলিয়ে এ তিন খাতেরই লেনদেন ছিল মোট লেনদেনের প্রায় অর্ধেক।