দেশে প্রথম ১৫০ কোটি টাকার দুটি ইটিএফের অনুমোদন

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অবশেষে অনুমোদন পেল এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা ইটিএফ। একসঙ্গে দুটি তহবিলের অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন ধরনের এ দুটি তহবিলের সম্মিলিত আকার ১৫০ কোটি টাকার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএসইসির কমিশন সভায় ইটিএফ দুটির ট্রাস্ট ডিড অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিএসইসি জানিয়েছে, এলবি মাল্টি অ্যাসেট ইনকাম ইটিএফ নামের তহবিলটির প্রাথমিক আকার হবে ১০০ কোটি টাকার। এ তহবিলের উদ্যোক্তা লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর ট্রাস্টির দায়িত্বে থাকবে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট ও বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। আর তহবিলটির সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।

এ ছাড়া এফএএম ডিজি বেঙ্গল টাইগার ইটিএফ নামের তহবিলটির প্রাথমিক আকার হবে ৫০ কোটি টাকা। তহবিলটির উদ্যোক্তা ফ্রন্টিয়ার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও ডন গ্লোবাল লিমিটেড। আর সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে ফ্রন্টিয়ার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, দুটি তহবিলই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। ফলে এটির ইউনিট বাজারে কেনাবেচার সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। ইটিএফও অনেকটাই বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মতোই তহবিল। তবে বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের চেয়ে ইটিএফের ভিন্নতা হচ্ছে, এটি শেয়ারবাজারে কোম্পানির শেয়ার নিয়মিত কেনাবেচা করবে। ফলে বাজারে এসব তহবিল তারল্য বাড়াতে সহায়তা করবে। মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে তহবিলের একটি বড় অংশ শেয়ারবাজারের বাইরে ব্যাংক বা বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। ইটিএফের ক্ষেত্রে এ সুযোগ সীমিত। ইটিএফের বড় অংশই বিনিয়োগ করতে হবে শেয়ারবাজারের কোম্পানিতে।

পৃথিবীতে যেসব দেশে ইটিএফ চালু রয়েছে সেখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওই তহবিলের অর্থ নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার বা নির্দিষ্ট সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিতে নির্দিষ্ট অনুপাতে বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে এ ধরনের তহবিল নতুন চালু হচ্ছে। তাই নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানিতে বিনিয়োগের বিষয়টি শর্ত হিসেবে রাখা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে ইটিএফের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পদ ব্যবস্থাপকই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।