ঢাকার শেয়ারবাজারের এক–চতুর্থাংশ লেনদেন ২ কোম্পানির

শেয়ারবাজার
গ্রাফিকস: প্রথম আলো

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স চার মাসের ব্যবধানে আবারও সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। গতকাল সোমবার দিন শেষে এ সূচক ৬৬ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৬০১ পয়েন্টে। এর আগে সর্বশেষ গত ১০ মে এ সূচক ৬ হাজার ৬৬৫ পয়েন্টের সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল। পরে সূচকটি কমে ২৮ জুলাই ৬ হাজারের নিচে নেমে যায়। তখন সূচকের পতন ঠেকাতে শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর সূচকটি আবার বাড়তে শুরু করে।

সূচকের পাশাপাশি গতকাল লেনদেনেও ছিল বেশ ভালো গতি। এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৭৬ কোটি টাকা বা প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। লেনদেনের ক্ষেত্রে ঢাকার বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত বেক্সিমকো ও ওরিয়ন গ্রুপ। এ দুই গ্রুপের তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির ওপর ভর করেই এখন বাজারের লেনদেন ও সূচকের বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে।

ঢাকার বাজারে গতকালের লেনদেনের প্রায় সাড়ে ৩০ শতাংশই ছিল বেক্সিমকো ও ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানিগুলোর। বর্তমানে শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো গ্রুপের তিনটি ও ওরিয়ন গ্রুপের দুটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত। বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানি তিনটি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, শাইনপুকুর সিরামিকস ও বেক্সিমকো ফার্মা। আর ওরিয়ন গ্রুপের দুই কোম্পানি হলো ওরিয়ন ফার্মা ও ওরিয়ন ইনফিউশন। গতকাল ডিএসইতে এ দুই গ্রুপের পাঁচ কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেড ও ওরিয়ন ফার্মা—এ দুই কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫১৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৬ শতাংশই ছিল এ দুই কোম্পানির। ঢাকার বাজারে গতকালও লেনদেনের শীর্ষ ২০ কোম্পানির মধ্যে ৪টিই ছিল এ দুই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান।

এদিকে বাজারে বেক্সিমকো ও ওরিয়ন গ্রুপের দাপটের কারণে অন্যান্য শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে, তা সত্ত্বেও বাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। ঢাকার বাজারে গতকাল ৩৭১টি কোম্পানির শেয়ারের হাতবদল হয়। এর মধ্যে ১৫৫টিরই কমেছে, বেড়েছে ৮৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১২৮টির দাম।