দুই দিনে পুনরুদ্ধার হয়েছে ডিএসইর ১২৭ পয়েন্ট সূচক

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ৬৯ পয়েন্ট বেড়েছে। ৭ কার্যদিবস পর লেনদেন আবারও ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। 

শেয়ারবাজারগ্রাফিকস মো. মাহাফুজার রহমান

সপ্তাহের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক ও লেনদেন, দুটিই বেড়েছে। আগের দিন বুধবারও একই প্রবণতা দেখা গেছে। যদিও সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস গত সোম ও মঙ্গলবার সূচকের বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। 

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ৬৯ পয়েন্ট বা প্রায় সোয়া ১ শতাংশ বেড়েছে। আগের দিনও এই সূচক ৫৮ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ বেড়েছিল। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনের বড় দরপতনে ডিএসইএক্স সূচকটি ১৫৪ পয়েন্ট কমেছিল। আর গত দুই দিনের উত্থানে ১২৭ পয়েন্ট পুনরুদ্ধার হয়েছে। 

বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় গত দুই দিন পতনের ধারা থেকে বাজার বেরিয়ে এসেছে। পতন থামাতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিএসইসির তৎপরতায় বুধবার শেয়ার বিক্রি কমিয়ে সূচক টেনে তোলা হয়েছিল। আর গতকাল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে।

■ ডিএসইতে গতকাল লেনদেনে শীর্ষ পাঁচ ব্রোকারেজ হাউস ছিল—ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ ও ইবিএল সিকিউরিটিজ। 

বড় দরপতনের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ভর করেছিল। অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তো বাছবিচার না করেই হাতে থাকা ভালো শেয়ারও বিক্রি করে দেন। কিন্তু গত দুই দিন বাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসায় আতঙ্কের বিক্রি গতকাল থেমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারেরও মূল্যবৃদ্ধি ঘটে, যার ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায় সূচকে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গতকাল শেয়ারবাজারে লেনদেনের শীর্ষে থাকা পাঁচ ব্রোকারেজ হাউস ছিল—ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ ও ইবিএল সিকিউরিটিজ। এর মধ্যে বেশির ভাগ ব্রোকারেজ হাউস থেকেই শেয়ার বিক্রির চেয়ে কেনা হয়েছে বেশি। গতকাল বিক্রির তুলনায় সবচেয়ে বেশি শেয়ার কিনেছে আইডিএলসি সিকিউরিটিজ। প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির চেয়ে ছয় কোটি টাকার বেশি শেয়ার কিনেছে। 

গত মঙ্গলবার ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যসীমা উঠে যাওয়ার পর টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটার শেয়ারের বড় দরপতন ঘটে। তবে গতকাল এটি দরবৃদ্ধির ধারায় ফিরেছে। এদিন রবির প্রতিটি শেয়ারের দাম ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৮ শতাংশ বেড়েছে। রবির শেয়ারের এ দরবৃদ্ধিতে গতকাল ডিএসইর সূচকে ৫ পয়েন্ট যোগ হয়। 

ঢাকার বাজারে গতকাল মোট ৬১০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১৮৭ কোটি টাকা কম। ৭ কার্যদিবস পর ঢাকার বাজারে এদিন সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এর আগে সবশেষ ১১ মার্চ ঢাকার বাজারে ৭৫৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।