শেয়ারবাজার থেকে দুই কোম্পানি ৯৮ কোটি টাকা তুলবে

শেয়ারবাজার

শেয়ারবাজার থেকে দুটি কোম্পানি ৯৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে ৯৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমরা নেটওয়ার্কস। আর ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে বাজারে নতুন তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া কোম্পানি ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাকসেসরিস। কোম্পানি দুটির মধ্যে আমরা নেটওয়ার্কস অধিকারমূলক বা রাইট শেয়ার ছেড়ে এবং ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার নতুন শেয়ার ছেড়ে এসব অর্থ সংগ্রহ করবে। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল বুধবার কোম্পানি দুটির মূলধন সংগ্রহের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিএসইসি জানিয়েছে, আমরা নেটওয়ার্কস তাদের বিদ্যমান শেয়ারধারীদের জন্য দুটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। প্রতিটি রাইট শেয়ার বিক্রি করা হবে ৩০ টাকায়। ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ২০ টাকা অধিমূল্য বা প্রিমিয়াম যোগ করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটি রাইট শেয়ার হিসেবে নতুন করে মোট ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৪টি শেয়ার ইস্যু করবে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি পাবে ৯২ কোটি ৯৭ লাখ ৯৯ হাজার ১২০ টাকা। এ টাকা কোম্পানিটি ব্যাংকঋণ পরিশোধ, নেটওয়ার্ক সিস্টেম হালনাগাদ, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ব্যবহার করবে। রাইট শেয়ার ছেড়ে নতুন করে মূলধন সংগ্রহের ফলে আমরা নেটওয়ার্কসের পরিশোধিত মূলধন বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৯৩ কোটি টাকায়। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬২ কোটি টাকা। কোম্পানিটির রাইট শেয়ারের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্টস।

এসএমইতে আসছে ক্রাফটসম্যান

চামড়া খাতের রপ্তানিমুখী কারখানা ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ শেয়ার ছাড়বে। শেয়ারবাজারের এসএমই বোর্ডের জন্য নির্ধারিত কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফার বা কিউআইইউ পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে এ শেয়ার বিক্রি করা হবে। প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করা হবে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে। ২০১৮ সালে একটি রপ্তানিমুখী কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাকসেসরিস। ২০২১ সালে উৎপাদনে আসে কোম্পানিটি। ওই বছরই রপ্তানি শুরু করে। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকায় প্রায় এক লাখ বর্গফুট জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে কোম্পানিটির কারখানা।

বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৩ কোটি টাকা। শেয়ারবাজারে শেয়ার ছেড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের পর এটির পরিশোধিত মূলধন বেড়ে দাঁড়াবে ২৮ কোটি টাকা।

কোম্পানিটির পরিচালক জহিরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়া আর্থিক বছরে কোম্পানিটি সাড়ে ৪ লাখ জোড়া জুতা রপ্তানি করেছে। রপ্তানির বড় অংশই যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। শেয়ারবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থ কোম্পানির আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় হবে। তাতে কোম্পানির ব্যবসার পাশাপাশি আর্থিক সক্ষমতা আরও বাড়বে।

বিএসইসি জানিয়েছে, শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর দিন থেকে প্রথম তিন বছর কোম্পানিটি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। গত বছরের জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ২ টাকা ৩৫ পয়সা।