বিএটিবির দরপতনে সূচক কমল ২৭ পয়েন্ট

শেয়ারবাজারপ্রতীকী ছবি

শেয়ারবাজারে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে। দেড় বছরের বেশি সময় পর গতকাল সোমবার থেকে কোম্পানিটির শেয়ার স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরেছে। ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার দিনে এটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটেছে। শেয়ারের দাম সাড়ে ৭ শতাংশ বা প্রায় ৩৯ টাকা কমে ৪৮০ টাকায় নেমে গেছে।

বিএটিবির সর্বোচ্চ দরপতনে সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকটিও কমেছে। ডিএসইএক্স সূচকটি এদিন প্রায় ৪০ পয়েন্ট কমে হয়েছে ৬ হাজার ১৭৫ পয়েন্ট।

শেয়ারবাজারের শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউস লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের তথ্য অনুযায়ী, শুধু বিএটিবির দরপতনেই ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। এ ছাড়া গ্রামীণফোনের শেয়ারের দরপতনের কারণে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ গতকাল ডিএসইএক্স সূচকের ৪০ পয়েন্টের মধ্যে ৩০ পয়েন্টই কমেছে এ দুটি কোম্পানির দরপতনে।

দরপতন হলেও দীর্ঘদিন পর লেনদেনে ফিরেছে গ্রামীণফোন ও বিএটিবি। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এত দিন এ দুটি কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় খুব বেশি লেনদেন হয়নি।

এখন লেনদেনে ফিরেছে। তাতে প্রাথমিকভাবে কয়েক দিন দরপতন হলেও ধীরে ধীরে দুই কোম্পানির শেয়ারের দর ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ, দরপতনের ফলেও এসব শেয়ারের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে।

এদিকে গ্রামীণফোন ও বিএটিবির দরপতনের ফলে বাজার মূলধনও কমেছে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ৪ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা কমে ৭ লাখ ৫২ হাজার ২২৪ কোটি টাকায় নেমেছে।