ডিএসইতে লেনদেন ছাড়াল দুই হাজার কোটি টাকা

শেয়ারবাজার
গ্রাফিকস: প্রথম আলো

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন আবারও ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে গতকাল রোববার। এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১০৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৩২৮ কোটি টাকা বা ১৮ শতাংশের বেশি।

গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর গতকালই ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। ওই দিন ঢাকার বাজারে ২ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।

বাজার–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা আবারও বাজারে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে লেনদেনে ভালো গতি থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আবারও বাজারমুখী হয়েছেন।

আবার এক সপ্তাহ ধরে শেয়ারের দাম বাড়ায় ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ঋণ নেওয়ার সক্ষমতাও বেড়েছে। সাধারণত শেয়ারের দাম যখন কেনা দামের চেয়ে কমে যায়, তখন ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা নতুন করে আর কোনো ঋণ পান না।

শেয়ার বিক্রি করতে গেলে লোকসানে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু শেয়ারের দাম যখন বাড়ে, তখন মুনাফায় এক শেয়ার বিক্রি করে অন্য শেয়ার কেনেন। তাতে তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যায়। এর ফলে বাড়ে লেনদেনের পরিমাণও।

জানতে চাইলে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রহমত পাশা বলেন, সামনে উৎপাদন খাতের অনেক কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করবে।

এ ছাড়া ডলারের বাজারসহ অর্থনীতির উদ্বেগগুলোও একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে। তাতে যেসব বিনিয়োগকারী কিছুদিন আগে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার সক্রিয় হচ্ছেন। বিশেষ করে কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আছে, এমন বিনিয়োগকারীরা বেশি সক্রিয় হয়েছেন এখন বাজারে। যার প্রভাব লেনদেনে দেখা যাচ্ছে।

ঢাকার বাজারে লেনদেনের পাশাপাশি সূচকও বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪০০ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। গত প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে সূচকটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। এর আগে সর্বশেষ ১৯ জুন এ সূচকটি ৬ হাজার ৪০৭ পয়েন্টের অবস্থানে ছিল।