শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনাবেচার যে ক্রয়াদেশ বা বিক্রয়াদেশ দেন, তার ভিত্তিতে দিনের লেনদেন বা ট্রেডসংখ্যা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। সে ক্ষেত্রে ক্রয়াদেশ বা বিক্রয়াদেশের মধ্যে একটিকেই বিবেচনায় ধরা হয়। যেটি হাওলা হিসেবেও শেয়ারবাজারে পরিচিত। একজন বিনিয়োগকারী দিনে একাধিক ক্রয়াদেশ বা বিক্রয়াদেশ দিতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে প্রতিটি হাওলাকে আলাদাভাবে হিসাবে ধরা হয়। তবে ক্রয়াদেশ ও বিক্রয়াদেশের একটি অংশকেই শুধু বিবেচনায় নেওয়া হয়। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, বাজারে এক দিনে যত ক্রয়াদেশ নিষ্পত্তি হয়, তার সমপরিমাণ বিক্রয়াদেশও নিষ্পত্তি হয়। এ কারণেই লেনদেন সংঘটিত হয়।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ঢাকার বাজারে সাড়ে ৪২ হাজার ট্রেড বা লেনদেন হয়েছে। গত প্রায় আড়াই বছরের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের ৭ জুলাই ডিএসইতে ২৯ হাজার ৬৯টি লেনদেন হয়েছিল। এরপর আর কখনো এত কম লেনদেন হয়নি। ক্রয়াদেশ বা বিক্রয়াদেশের সংখ্যা কমে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়ে বাজারের সার্বিক লেনদেনেও। এ কারণে গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনও ছিল আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এদিন বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৪৬ কোটি টাকা। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের ৭ জুলাই ডিএসইতে ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। কারণ, ওই দিন সর্বনিম্নসংখ্যক লেনদেন ছিল ঢাকার বাজারে।

শুধু লেনদেনসংখ্যা নয়, গত আড়াই বছরের মধ্যে ডিএসইতে সবচেয়ে কম শেয়ারের হাতবদল হয়েছে গতকাল। এদিন ২ কোটি ৩ লাখ ১৯ হাজার ২৪৫টি শেয়ার বা ইউনিটের হাতবদল হয়। এর আগে এত কম পরিমাণ শেয়ারের হাতবদল হয়েছিল ২০২০ সালের ১১ জুন। ওই দিন মাত্র ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭ হাজার ৪৪৭টি শেয়ার বা ইউনিটের হাতবদল হয়েছিল। ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ারের হাতবদল হয় ২০২১ সালে ১৬ আগস্ট। ওই দিন ১০১ কোটি ৪৭ লাখ শেয়ার বা ইউনিটের হাতবদল হয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। আর সবচেয়ে বেশি লেনদেনসংখ্যা বা ক্রয়াদেশ ছিল ২০২১ সালের ৯ আগস্ট। ওই দিন ৪ লাখ ২১ হাজার ৮০৩টি লেনদেন হয়। সেই হিসাবে গতকাল ডিএসইতে লেনদেনসংখ্যা ছিল প্রায় ১০ ভাগের ১ ভাগ।