শেয়ারবাজারের লেনদেনে ধীরগতি, ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে ভালো শেয়ার
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস আজ সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে লেনদেনে কিছুটা নেতিবাচক ধারা দেখা গেছে। প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে। কিছুটা শ্লথগতিতে এগোচ্ছে লেনদেন।
আজ প্রথম দেড় ঘণ্টায় শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি টাকার মতো। এই সময়ের মধ্যে লেনদেনে শীর্ষে ছিল তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রথম দেড় ঘণ্টায় কোম্পানিটির প্রায় ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ফু ওয়াং ফুড লিমিটেড। এটির মোট ৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির প্রায় ৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের এ শ্লথগতির জন্য বিমা খাতের অধিকাংশ শেয়ারের মূল্য সংশোধনকে কারণ হিসেবে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার বিমা খাত নির্ভর হয়ে পড়েছে। ফলে এই খাতের শেয়ারের দাম বাড়লে লেনদেনে ইতিবাচক ধারা দেখা যায়। আবার বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলে লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আজও তেমনই হয়েছে।
প্রথম দেড় ঘণ্টায় লেনদেনের শীর্ষে থাকা তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য পরিচালনা পর্ষদ সভা ও লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে। একে কেন্দ্র করে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
অন্যদিকে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর এখন পর্যন্ত রেকর্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারী ব্যক্তিদের জন্য ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গত বছর কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। কিন্তু বড় পরিমাণে লভ্যাংশ ঘোষণার উল্লেখযোগ্য প্রভাব কোম্পানিটির শেয়ারের দামে দেখা যাচ্ছে না।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভালো লভ্যাংশ দেওয়ার পরও কোম্পানির শেয়ারের দাম না বাড়ার কারণ হচ্ছে ওই কোম্পানির শেয়ারের দাম নিয়ন্ত্রণ সংস্থার বেঁধে দেওয়া মূল্যস্তরে (ফ্লোর প্রাইস) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসের স্তরে দাম আটকে থাকার কারণে ভালো শেয়ারের দিকে বিনিয়োগকারী ব্যক্তিদের আগ্রহ কম থাকে, তবে নিম্নমানের খারাপ শেয়ারের দাম বাড়ে বলে দেখা যায়। এর ফলে বাজারে একধরনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।
গতকাল রোববার দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই ছিল নিম্নমুখী। এর মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসই এক্স সাড়ে ১২ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক প্রায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইতে প্রায় ৫৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়।