তিন মাসে বিক্রিতে মন্দা, লোকসানে ওয়ালটন

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিসহ চার কারণে ইলেকট্রনিকস খাতের শীর্ষস্থানীয় দেশি কোম্পানি ওয়ালটন লোকসানে চলে গেছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি আজ সোমবার গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে আজ এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৫২ পয়সা লোকসান করেছে। অথচ গত বছর একই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৯ টাকা ২৮ পয়সা মুনাফা করেছিল। তার আগের বছর করোনার মধ্যেও অর্থাৎ ২০২০–২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১৩ টাকা ২৬ পয়সা মুনাফা করেছিল।

গত ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ওয়ালটন প্রথমবারের মতো লোকসান গুনেছে গত প্রান্তিকে। এ সময়ে মূলত বিশ্ব ও দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে শিল্পের কাঁচামালের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় জাহাজভাড়া। পাশাপাশি দেশে ডলার–সংকটও প্রকট হয়ে উঠে গত জুলাই–সেপ্টেম্বর সময়ে। তাতে টাকার মান কমতে থাকে। বাজারে সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়।

বাজারে নিত্যপণ্যসহ সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় অতি প্রয়োজনীয় কেনাকাটা ছাড়া অন্যান্য কেনাকাটা কমিয়ে দেয় দেশের মানুষ। এতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ওয়ালটনের বিক্রিতে।

এ কারণে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকার বিক্রি কমে যায় কোম্পানিটির। এদিকে কমেছে বিক্রি, অন্যদিকে বেড়েছে কাঁচামালসহ উৎপাদনের খরচ। সব মিলিয়ে কোম্পানিটি গত তিন মাসে বড় ধরনের লোকসান করেছে।