শেয়ারবাজারে বিপুল লেনদেন, প্রথম ঘন্টায় ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল
শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর উঠে যাওয়ার দ্বিতীয় দিনে শেয়ার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখা যাচ্ছে। আজ সোমবার লেনদেনের প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে, যদিও দিনের শুরুটা হয়েছিল সূচকের পতন দিয়ে।
দেড় বছর পর গতকাল রোববার থেকে শেয়ার বাজারে ফ্লোর প্রাইস উঠে যায়। এর জেরে গতকাল ঢাকার বাজারের প্রধান সূচকটি দিন শেষে ৯৬ পয়েন্ট কমেছিল। সূচক পতনের সেই ধারাবাহিকতায় আজ দিনের লেনদেন শুরু হয় সকাল ১০টায়। সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪ পয়েন্ট ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে ১১টার দিকে সূচক আবার কিছুটা নেতিবাচক ধারায় চলে গেলেও কয়েক মিনিটের মধ্যে তা ঊর্ধ্বমুখী হয়।
আজ ঢাকার শেয়ারবাজারে প্রথম এক ঘণ্টাতেই লেনদেন ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দিন শেষে বেশ বড় অঙ্কের লেনদেন হবে বলে আশা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। সকাল থেকে লেনদেনে ভালো গতি থাকায় বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্রোকার হাউসের শীর্ষ নির্বাহী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী প্রথম আলোকে বলেন, যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশি কমছে, সেসব শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। এ কারণে গতকাল যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশি কমেছে, তার মধ্যে কয়েকটি আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া ৩৭৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০০টি দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৪ টির। অপরিবর্তিত ছিল ৩৫ টির দাম। এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫৮ কোটি টাকায়।
গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে বিএসইসি ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার আদেশ জারি করে। শেয়ারবাজারের সূচকে যে ৩৫টি কোম্পানির বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে, মূলত সেগুলোর ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছে।
২০২২ সালের ২৮ জুলাই শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা বিএসইসি।