গত বছর সিটি ব্যাংকের ৬৩৮ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা

শেয়ারবাজারপ্রতীকী ছবি

২০২৩ সালে ৬৩৮ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা করেছে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক। গত বছর শেষে ব্যাংকটি কর–পরবর্তী এ মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের সিটি ব্যাংকের কর–পরবর্তী মুনাফা ছিল ৪৭৮ কোটি টাকা। আজ বুধবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় চূড়ান্ত হওয়া গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

রেকর্ড মুনাফা হওয়ায় ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসও বেড়েছে। গত বছর শেষে সিটি ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা; যা ২০২২ সালে ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা।

পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে আজ ব্যাংকটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় ২০২৩ সালের সমন্বিত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। আগামী ৩০ মে অনুষ্ঠেয় ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদনের পর ঘোষিত এ লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে সিটি ব্যাংক বলেছে, ২০২৩ সালে ডলার–সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন বা ফরেন এক্সচেঞ্জ থেকে ব্যাংকটির আয় আগের বছরের চেয়ে ৭৪ শতাংশ কমে গেছে। তা সত্ত্বেও ব্যাংকটি রেকর্ড মুনাফা করেছে। এ মুনাফার পেছনে বড় কারণ ছিল ব্যাংকের আমানত ব্যয় কমে যাওয়া, ভালো ঋণের প্রবৃদ্ধি, ঋণ থেকে পাওয়া মুনাফা ও সরকারি ট্রেজারি বিল বা বন্ড থেকে মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়া। গত বছর সব মিলিয়ে সিটি ব্যাংক ১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করে। ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফা ছিল ১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা।

সিটি ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকটির আয়ের উল্লেখযোগ্য দুটি দিক হলো এর মোট আয়ের ২৬ শতাংশ এসেছে বিভিন্ন ধরনের মাশুল ও কমিশন থেকে। আর ৪০ শতাংশ আয় এসেছে ব্যক্তি খাত থেকে, যার মধ্যে রয়েছে রিটেইল, কার্ড ও ক্ষুদ্রঋণ।

সিটি ব্যাংক জানিয়েছে, গত বছর ব্যাংকটি তাদের বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে মোট ২৫৬ কোটি টাকার প্রভিশন সংরক্ষণ করেছে।