রেকর্ড আয়ে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা রবি আজিয়াটার

গত বছর রেকর্ড আয় করেছে টেলিকম খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা। গত বছর শেষে কোম্পানিটি ৯ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা আয় করেছে, যা রবির ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ আয়। রেকর্ড আয় করায় গত বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের হিসাব চূড়ান্ত করার পাশাপাশি লভ্যাংশের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে রবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রবি আজিয়াটা দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি। ২০২০ সালে কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্তির পর গত বছরের জন্য কোম্পানিটি সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। রবি জানিয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর কোম্পানিটির আয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছর শেষে কোম্পানিটি ৩২১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছর রবিতে নতুন ৪৩ লাখ গ্রাহক যুক্ত হয়েছে। তাতে বছর শেষে কোম্পানিটির মোট গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮৭ লাখে, যা দেশের মোট মুঠোফোন ব্যবহারকারীর ৩১ শতাংশ। রবির মোট গ্রাহকের ৬১ শতাংশই ফোর–জি বা চতুর্থ প্রজন্মের সেবা ব্যবহারকারী গ্রাহক। গত বছরও ফোর–জি সেবায় শীর্ষে ছিল রবি।

রবি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কোম্পানিটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৫ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা তাদের গত বছরের আয়ের প্রায় ৫৭ শতাংশ। বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৬১ টাকায়। কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ এপ্রিল।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রাজীব শেঠি বলেন, ‘২০২৩ সালে রবির রেকর্ড আয়ের মূল শক্তি ছিল আমাদের নেটওয়ার্কের ওপর গ্রাহকের পূর্ণ আস্থা। এই আস্থার কারণে ২০২৩ সালে টেলিকম খাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রাহক রবিতে যুক্ত হয়েছে। আমাদের ব্যবসায়িক সাফল্য গ্রাহকের পক্ষ থেকে আমাদের সেবার মানের প্রতি অনন্য স্বীকৃতি।’

রাজীব শেঠি আরও  বলেন, এ খাতে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যার ফলে একটি অপারেটর বিশেষ সুবিধা পেয়ে সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশে প্রভাব পড়ে।

রবি আজিয়াটার শেয়ারের সিংহভাগ বা প্রায় ৬২ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের হাতে। সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ১০ শতাংশ শেয়ার। বাকি ২৮ শতাংশের বেশি শেয়ার রয়েছে ভারতী এয়ারটেলের (ভারত) হাতে।