সংকটেও দ্বিগুণ মুনাফা তারকা হোটেল ব্যবসায়

রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ওয়েস্টিন হোটেল
সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতি যখন নানামুখী চাপে, তখন পাঁচ তারকা হোটেলের ব্যবসা বেশ চাঙা। তাতে এক বছরের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের মুনাফা দ্বিগুণ হয়েছে। আজ সোমবার কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের যে হিসাব চূড়ান্ত করেছে, সেখান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের মালিকানায় রয়েছে রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল, বনানীর শেরাটন হোটেল ও উত্তরার হানসা সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টস। পাশাপাশি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের মালিকানায় রয়েছে ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার ও সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন– এই এক বছরে হোটেল ব্যবসা থেকে কোম্পানিটি ২৯৩ কোটি টাকা আয় করেছে। তার আগের অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় হয়েছিল ১৯০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে হোটেল ব্যবসা থেকে ইউনিকের আয় ১০০ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে। তবে কোম্পানিটির মুনাফায় বড় উত্থান হয়েছে মূলত ইউনিক মেঘনাঘাটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের শেয়ার বিক্রি থেকে পাওয়া প্রায় ১১৩ কোটি টাকার মুনাফার বদৌলতে।

কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটি কর–পরবর্তী মুনাফা করেছে প্রায় ১৯৩ কোটি টাকা। আগের বছর মুনাফার পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসও দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ২০২২–২৩ অর্থবছর শেষে এটির ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ৪২ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ৩ টাকা ৩৪ পয়সা।

মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়ায় শেয়ারধারীদের জন্য গত বছরের চেয়ে এবার বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। গত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এদিকে আজ শেয়ারবাজারে লেনদেন শেষে ইউনিক হোটেলের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ৩ টাকা বা ৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৭১ টাকা ২০ পয়সায়। কোম্পানিটি ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এটির পরিশোধিত মূলধন ২৯৪ কোটি টাকা।