স্কয়ার টেক্সটাইলের মুনাফা বেড়ে ১৪৩ কোটি টাকা
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইল গত অর্থবছরে ১৪৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। আগের বছর কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ১১৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে স্কয়ার গ্রুপভুক্ত বস্ত্র খাতের এই কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ২৭ কোটি টাকা বা সোয়া ২৩ শতাংশের বেশি। গত মঙ্গলবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব চূড়ান্ত করা হয়।
তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে আজ বুধবার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে মুনাফার এই তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে কোম্পানিটি। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত অর্থবছরের লাভ-লোকসানের হিসাব চূড়ান্ত করার পাশাপাশি কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের জন্য ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশও ঘোষণা করেছে। ঘোষিত এই লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৬ নভেম্বর। ওই দিন যাঁদের হাতে কোম্পানিটির শেয়ার থাকবে, তাঁরা এই লভ্যাংশ পাবেন।
এদিকে মুনাফা বাড়লেও ঘোষিত লভ্যাংশ আগের বছরের মতো অপরিবর্তিত রেখেছে কোম্পানিটি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্যও কোম্পানিটি ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ বছরও একই হারে লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। তাতে লভ্যাংশবাবদ বিতরণ করা হবে ৬৩ কোটি টাকা, যা কোম্পানিটির মুনাফার প্রায় ৪৪ শতাংশ। এই লভ্যাংশের মধ্যে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা পাবেন ৩৯ কোটি টাকা। কারণ, কোম্পানিটির শেয়ারের প্রায় ৬২ শতাংশই রয়েছে তাঁদের হাতে। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ১৫ কোটি টাকা লভ্যাংশ পাবেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। গত সেপ্টেম্বর শেষে তাঁদের হাতে ছিল সাড়ে ২৩ শতাংশের বেশি শেয়ার। ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশবাবদ পাবেন প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশবাবদ পাবেন পৌনে ২ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় ৪০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির আধুনিকায়ন ও স্কয়ার টেক্সকম নামে সহযোগী কোম্পানি অধিগ্রহণে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, নতুন এই বিনিয়োগের সুফল ভবিষ্যতে কোম্পানিটি পাবে।
এদিকে মুনাফা বৃদ্ধি ও লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দামের খুব বেশি হেরফের হয়নি। এদিন ঢাকার বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৮০ পয়সা। দিন শেষে কোম্পানিটির প্রায় দেড় লাখ শেয়ারের হাতবদল হয়।