এবার বন্ড ছেড়ে টাকা তুলবে ইসলামী ব্যাংক ও এসআইবিএল

শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা তুলছে শরিয়াহভিত্তিক দুই ব্যাংক। ব্যাংক দুটি বন্ড ছেড়ে এ টাকা তুলবে। ব্যাংক দুটি হলো ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল)। এর মধ্যে ৮০০ কোটি টাকা তুলবে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক তুলবে ৬০০ কোটি টাকা। আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংক দুটির বন্ড ছাড়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

এ দুই ব্যাংকের বাইরে প্রচলিত ধারার পূবালী ব্যাংকও বন্ড ছেড়ে ৭০০ কোটি টাকা তুলবে। আজ এ ব্যাংকটিরও বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

বিএসইসি জানিয়েছে, ইসলামী ব্যাংক অরূপান্তরযোগ্য সাত বছর মেয়াদি বন্ড ছেড়ে ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ টাকা মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রচলিত ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে। বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ বন্ডটির একটি ইউনিট কিনতে বিনিয়োগ করতে হবে ন্যূনতম ১০ লাখ টাকা। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তির কাছে এ বন্ড বিক্রি করা হবে।

আরও পড়ুন

বড় ধরনের ঋণ অনিয়মের কারণে সংকটে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। সংকটে পড়ে ব্যাংকটি এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত নগদ জমার (সিআরআর) অর্থ জমা রাখতে পারছে না। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকটির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমানত কমে যাওয়ায় তারল্য–সংকট দেখা দিয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে বন্ড ছেড়ে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ৮০০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি জানিয়েছে, এ টাকা ব্যাংকটি নিয়মিত ব্যবসায়ও বিনিয়োগ করতে পারবে। তাতে তারল্য–সংকট কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

এদিকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককেও ৬০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাংকটির বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু নির্ধারণ করা হয়েছে এক কোটি টাকা। অর্থাৎ এ বন্ডে কেউ এক কোটি টাকার কম বিনিয়োগ করতে পারবেন না। বন্ডের অর্থে ব্যাংকটি মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। এ ব্যাংকটিও সাম্প্রতিক সময়ে ঋণ অনিয়মের কারণে তারল্য–সংকটে পড়েছে। পাশাপাশি কমেছে আমানতও।

আরও পড়ুন

দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক একটি কোম্পানি। ২০১৭ সালে শেয়ারবাজার থেকে শেয়ার কিনে এ দুটি ব্যাংকের মালিকানায় যুক্ত হয় কোম্পানিটি। এরপর সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের ঋণ অনিয়মের কারণে ব্যাংক দুটিই সংকটে পড়েছে।

আরও পড়ুন