শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ আকারে দেবে প্রতিষ্ঠানটি। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হওয়া সর্বশেষ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারধারীদের এ লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মোট ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে নিয়ম অনুযায়ী আজ ব্যাংকটির শেয়ারের দামের উত্থান-পতনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সীমা আরোপিত থাকছে না।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ২০২২ সালে গ্রাহকদের মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ ছিল ১২ শতাংশ এবং ৩ শতাংশ ছিল বোনাস লভ্যাংশ। তবে এ বছর কোনো বোনাস লভ্যাংশ দেয়নি ব্যাংকটি। এর পরিবর্তে ১৪ শতাংশের পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ আকারে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ হিসাব বছরে (২০২৩) শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২২ পয়সা। ২০২২ সালেও ব্যাংকটির ইপিএস ৩ টাকা ২২ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পুনর্মূল্যায়নকৃত শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩৮ পয়সা। এটি ২০২২ সালে ছিল ১৯ টাকা ৭২ পয়সা। এ ছাড়া গত বছর শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ১০ টাকা ১৯ পয়সা; যা এর আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৫২ পয়সা।

শেয়ারবাজারে দেওয়া ঘোষণায় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক জানিয়েছে, কোম্পানিটির নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত বৃদ্ধির কারণে এই বৃদ্ধি হয়েছে বলে ব্যাংকটি জানিয়েছে।

ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ মে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন করবেন। এ জন্য আগামী ৮ মে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।