সূচক থেকে ভালো কোম্পানি বাদ, কারসাজির শেয়ারের দাপট, যাচ্ছে ভুল বার্তা

ডিএসইর প্রধান সূচক হিসাব করা হচ্ছে ৭০ শতাংশ কোম্পানি নিয়ে। ৩০ শতাংশ কোম্পানির লেনদেনের প্রতিফলন নেই এ সূচকে।

শেয়ারবাজারগ্রাফিকস: প্রথম আলো

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচকে এখন এসিআই, আরএকে সিরামিকস, তিতাস, ক্রাউন সিমেন্ট, ওয়ালটন, আইডিএলসি, আইপিডিসির মতো কোম্পানির কোনো ভূমিকা নেই; বরং প্রধান এ শেয়ার সূচকের উত্থান-পতনে ভূমিকা রাখছে ইমাম বাটন, জুট স্পিনার্স, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, নর্দার্ন জুটের মতো বন্ধ ও মানহীন কোম্পানি। শেয়ারবাজারের সার্বিক স্বাস্থ্য নির্দেশ করে এই সূচক, যা অনেক বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করে।

শেয়ারবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, অনিয়ম ও কারসাজি করে গত দেড় বছরে যেসব কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে, সেসব কোম্পানিই এখন নির্ধারণ করছে ডিএসইএক্স সূচকের উত্থান-পতন। সূচক থেকে বাদ পড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তালিকাভুক্ত কোম্পানি। একদিকে সূচক গণনায় বেড়েছে বাজে হিসেবে পরিচিত কোম্পানির অবদান, অন্যদিকে কমে গেছে ভালো কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্ব। ফলে ডিএসইএক্স সূচকটি বড় ধরনের ‘ভুল বার্তা’ দিচ্ছে বিনিয়োগকারীদের।

বর্তমানে যেসব কোম্পানি নিয়ে সূচক গণনা করা হচ্ছে, তাতে প্রধান সূচকটি বাজারে ভুল বার্তা দিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক সিদ্ধান্তের কারণেই গত দেড় বছর ভালো ভালো কোম্পানির লেনদেন হয়নি।
ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক চেয়ারম্যান, বিএসই

দেশের প্রধান শেয়ারবাজারের সূচকটি এখন কাদের প্রতিনিধিত্ব করছে, তা নিয়েই বাজারে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে ২৫০টি কোম্পানি নিয়ে এখন এ সূচক গণনা করা হচ্ছে, যে সংখ্যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। অথচ ঢাকার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩৫৬। সেই হিসাবে, ডিএসইএক্স সূচকে ১০৬টি কোম্পানির লেনদেনের কোনো প্রতিফলনই নেই।

সর্বশেষ ২১ জানুয়ারি বার্ষিক লেনদেনের ভিত্তিতে ডিএসইএক্স সূচক সমন্বয় করার সময় ৮৩টি কোম্পানিকে সূচক গণনার হিসাব-নিকাশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এবারই সূচকটি থেকে বাদ পড়েছে সর্বোচ্চসংখ্যক কোম্পানি। বাদ পড়াদের বেশির ভাগই ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেঁধে দেওয়া শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোর প্রাইসের কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারের খুব বেশি লেনদেন হয়নি। ফলে কোম্পানিগুলো বাদ পড়ে যায় সূচক থেকে।

সূচক গণনার নিয়ম অনুযায়ী, লেনদেনযোগ্য শেয়ারের ভিত্তিতে যে কোম্পানির বাজার মূলধন যত বেশি, সূচকে সেই শেয়ারের দামের উত্থান-পতনের প্রভাব তত বেশি। উদাহরণ হিসেবে সরকারি কোম্পানি তিতাস গ্যাসের কথা ধরা যাক। স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনযোগ্য শেয়ারের ভিত্তিতে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ৭১৭ কোটি টাকার বেশি। তাই এ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলে বা বাড়লে সূচকেও তার প্রভাব পড়ার কথা। ১৮ থেকে ২৫ জানুয়ারি—পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১২ টাকা কমেছে, কিন্তু সূচকে তার কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। কারণ, ২১ জানুয়ারি থেকে ডিএসইর প্রধান সূচক গণনায় এ কোম্পানিকে আর বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে যেসব কোম্পানি নিয়ে সূচক গণনা করা হচ্ছে, তাতে প্রধান সূচকটি বাজারে ভুল বার্তা দিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক সিদ্ধান্তের কারণেই গত দেড় বছর ভালো ভালো কোম্পানির লেনদেন হয়নি। এর সঙ্গে কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্সের কোনো বিষয় জড়িত ছিল না। তাই ১০০-এর বেশি কোম্পানিকে বাদ দিয়ে সূচক গণনা করায় ‘বিকৃত’ তথ্য পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে তাঁদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হতে পারে।

‘সূচক গণনার হিসাবটি ডিএসই করে থাকে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে লেনদেন না হওয়ায় ডিএসইএক্স সূচক থেকে ভালো ভালো কোম্পানির বাদ পড়ার ঘটনাটি আমাদের জানা ছিল না। যদি সেটি ঘটে থাকে, তাহলে বিএসইসি অবশ্যই আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুযায়ী সূচক সংশোধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মুখপাত্র, বিএসইসি

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের দিনই সমন্বয়

২১ জানুয়ারি থেকে ৩৫টি বাদে শেয়ারবাজারের বাকি সব কোম্পানির শেয়ারের দামের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর উঠিয়ে নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই এ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিল। যার ফলে কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বেঁধে দেওয়া ওই দামের নিচে নামতে পারত না।

দেড় বছর পর সেই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার দিনে সমন্বয় করা হয় ডিএসইএক্স সূচকটিও। এ সময় সূচক থেকে বাদ পড়ে ৮৩টি কোম্পানি। আর নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয় ১৬টি কোম্পানি। সূচকে জায়গা পাওয়াদের মধ্যে রয়েছে ইমাম বাটন, ঝিলবাংলা, লিগেসি ফুটওয়্যারের মতো বন্ধ ও নিম্নমানের কোম্পানি। গত দেড় বছরে কারসাজির মাধ্যমে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফলে ডিএসইএক্স সূচকের মাধ্যমে বাজারের প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠছে না বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বাজারের প্রায় ৩০ শতাংশ কোম্পানি এখন ঢাকার প্রধান সূচকের বাইরে রয়েছে। ফলে এ সূচকে বাজারের প্রকৃত চিত্রের প্রতিফলন নেই।

জানতে চাইলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সূচক গণনার হিসাবটি ডিএসই করে থাকে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে লেনদেন না হওয়ায় ডিএসইএক্স সূচক থেকে ভালো ভালো কোম্পানির বাদ পড়ার ঘটনাটি আমাদের জানা ছিল না। যদি সেটি ঘটে থাকে, তাহলে বিএসইসি অবশ্যই আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুযায়ী সূচক সংশোধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার দিনে ৮৩ কোম্পানিকে সূচক থেকে বাদ দেওয়ার ঘটনায় বাজারসংশ্লিষ্টদের কারও কারও মনে প্রশ্ন জেগেছে, সূচকের পতন কম দেখাতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে কি না। তবে ডিএসইর কর্মকর্তারা বলছেন, এটি কাকতালীয়। নিয়ম অনুযায়ী বার্ষিক সূচক সমন্বয় করা হয় প্রতিবছরের জানুয়ারির তৃতীয় বৃহস্পতিবার, আর তা কার্যকর হয় রোববার থেকে। এবারও সেই নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে তা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের দিনের সঙ্গে মিলে গেছে।

এতগুলো কোম্পানি সূচক থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে সূচক কমিটির মধ্যে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে করণীয় কী হতে পারে, তা ঠিক করতে পদ্ধতি সংশোধনের বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। তবে কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এবার এসঅ্যান্ডপির পদ্ধতি মেনে চলার সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সূচকটি সমন্বয়ের যখন উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার বিষয়টি সামনে ছিল না। এখন ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে। তাই সূচকটি সমন্বয়ের পদ্ধতি নিয়ে আমাদের নতুন করে আবার ভাবতে হবে বলে মনে করি। তবে নিয়ম মেনেই সূচকটি সমন্বয় করা হয়েছিল।’

সূচক সমন্বয়ের পদ্ধতি

শেয়ারবাজারের জন্য সূচক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমেই বাজারের গতিপ্রকৃতি বোঝা যায়। ডিএসইর আগের প্রধান সূচক ডিএসই জেনারেল ইনডেক্স বা ডিজিইএন গণনায়ও বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছিল। এ কারণে ব্যাপক সমালোচনার পর ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি আগের সূচক বাদ দিয়ে নতুন সূচক ‘ডিএসইএক্স’ চালু করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে সেটিকে গ্রহণযোগ্যতা দিতে ওই সূচক গণনার পদ্ধতি নির্ধারণের কাজটি করানো হয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপি ডাও জোনসকে দিয়ে। ২০১৩ সাল থেকে এসঅ্যান্ডপির পদ্ধতি মেনে বছরে একবার সূচকটি সমন্বয় করা হয়।

এসঅ্যান্ডপি নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী, যেসব কোম্পানির ছয় মাসের দৈনিক গড় লেনদেন ১০ লাখ টাকার বেশি, সেসব কোম্পানিই কেবল ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্ত হবে। সূচকটি যখন চালু করা হয়, তখন সেটিতে বাজারের ৯৭ শতাংশ কোম্পানির লেনদেনের প্রতিফলন ছিল। আর এখন অনেক কোম্পানি বাদ পড়ার পর সেই সূচকে ৭০ শতাংশ কোম্পানির লেনদেনের প্রতিফলন ঘটছে।

এসঅ্যান্ডপি যখন বাংলাদেশের সূচক গণনার পদ্ধতি নির্ধারণ করে, তখন বাজারে ‘ফ্লোর প্রাইসের’ মতো বিষয় চালু হতে পারে—সেটি অনুমানে ছিল না। ফলে ফ্লোর প্রাইসের কারণে যদি ভালো শেয়ারের লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় তখন কী হবে, তার কোনো নির্দেশনা ছিল না। তাই ফ্লোর প্রাইসের বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে এসঅ্যান্ডপির পদ্ধতি মেনে সূচক সমন্বয় করায় এটি তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর একটি বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব হারায়।

২০১৩ সালে ডিএসইএক্স নামে নতুন সূচক চালুর প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ডিএসইর তৎকালীন উপমহাব্যবস্থাপক নিজামউদ্দিন আহম্মদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সূচকটি যখন চালু হয়, তখন ফ্লোর প্রাইসের বিষয় বিবেচনায় ছিল না। তবে সূচকের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির উচিত ছিল বিদ্যমান বাস্তবতায় এ বছর সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বাদ না দেওয়া। আর নতুন অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে শুধু আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোকে নিয়ম অনুযায়ী সূচকে বিবেচনায় নেওয়া।

সূচকটি সমন্বয়ের যখন উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার বিষয়টি সামনে ছিল না। এখন ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে। তাই সূচকটি সমন্বয়ের পদ্ধতি নিয়ে আমাদের নতুন করে আবার ভাবতে হবে বলে মনে করি। তবে নিয়ম মেনেই সূচকটি সমন্বয় করা হয়েছিল।
ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান

সূচকে কোন শ্রেণির কত কোম্পানি

যে ২৫০ কোম্পানি নিয়ে বর্তমানে ডিএসইএক্স সূচক গণনা হচ্ছে, তাতে ভালো মানের ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানি ১৪৪টি, মধ্যম মানের ‘বি’ শ্রেণির কোম্পানি ৯৫টি এবং নিম্নমানের ‘জেড’ শ্রেণির কোম্পানি রয়েছে ১১টি। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড ও ডিবেঞ্চারকে কখনোই সূচক গণনায় নেওয়া হয় না।

ডিএসই সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডিএসইএক্স সূচক গণনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল ২৮১টি কোম্পানি, ২০২০ সালে ছিল ২৮৫টি, ২০২১ সালে ৩০৪টি, ২০২২ সালে ৩১৬টি ও সর্বশেষ ২০২৩ সালে ছিল ৩১৫টি। এ পাঁচ বছরে শেয়ারবাজারে নতুন করে অর্ধশতাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে এসে সূচকে কোম্পানির সংখ্যা কমে গেছে।

ডিএসইর সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক নিজামউদ্দিন আহম্মদ বলেন, একটি বাজারে তালিকাভুক্ত মাত্র ৭০ শতাংশ কোম্পানি নিয়ে একটি ব্রড ইনডেক্স প্রকাশ করা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়; কারণ, এতে বাজারের প্রকৃত চিত্র বোঝা যায় না।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বজুড়ে বাজারের প্রধান সূচক বা ব্রড ইনডেক্সকে এমনভাবে সাজানো হয়, যেখানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সিংহভাগের অংশগ্রহণ থাকে। তাতে সূচকের মাধ্যমে বাজারের প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে।

ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সূচকের একধরনের ভূমিকা থাকে। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ডিএসইর উচিত যত দ্রুত সম্ভব সূচকটি সমন্বয় বা সংশোধনে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া।